ঋতম্ভরা ব্যানার্জি: কাঁচা লঙ্কা দিয়ে সর্ষে ইলিশ বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একটি প্রিয় খাদ্য। তাই কোনও মতেই কাঁচালঙ্কার ঝালে কাতর হলে চলবে না। দ্রুত ওজন কমাতে পুষ্টিকর কাঁচালঙ্কার গুনের শেষ নেই। ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন এ, আয়রন, পটাশিয়াম এবং কপারের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান কাঁচালঙ্কাতে পাওয়া যায়। কাঁচালঙ্কা শুধু খাবারের স্বাদ আনার কাজ করে তাই নয়, কাঁচালঙ্কার মধ্যে থাকা ক্যাপসাইসিন বিপাক বাড়াতে এবং খিদে কমাতে সাহায্য করে। এই কারণেই এটি ক্যালোরি কমায় এবং ওজন ও কমায়। কাঁচালঙ্কা রক্তের কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ কমে যায়।
এটি খাওয়ার ফলে ফাইব্রিনোলাইটিক কার্যকলাপ ও কমে যায়। কাঁচালঙ্কা ফাইবার সমৃদ্ধ বলে কোলন পরিষ্কার করে হজমের সাহায্য করে এবং নিয়মিত মলত্যাগের সাহায্য করে। কাঁচালঙ্কা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কাঁচালঙ্কার মধ্যে উপস্থিত ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারি প্রাকৃতিক তেল তৈরী করে। মুখের ব্রণ, ফুসকুড়ি, দাগ এবং বলিরেখা নিরাময়ে সাহায্য করে। কাঁচালঙ্কা প্রাকৃতিক সিলিকনের একটি ভালো উৎস, যা মাথার ত্বক এবং চুলের ফলিকলের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে এটি কখনও অতিরিক্ত পরিমানে বেশি খাওয়া উচিত নয়। এতে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা হতে পারে, যার ফলে ডায়ারিয়া এবং বমি বমি ভাব হয়। কাঁচালঙ্কার মধ্যে থাকা ভিটামিন এ হাড়, দাঁত এবং মিউকাস মেমব্রেন কে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচালঙ্কা খাওয়ার হজম করতে কার্যকরী। গুড়ো লঙ্কা খাবারের রঙ, স্বাদ বাড়ালেও হজমের সমস্যা করে। মাইগ্রেন এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথাও নিয়ন্ত্রণে রাখে কাঁচালঙ্কা। যন্ত্রণা নিরাময় করতে সাহায্য করে। চোখের জ্যোতি বাড়ায় এবং চোখের অন্যান্য সমস্যা থেকে ঝুঁকি কমায়।
বর্ষার সন্ধ্যায় কাঁচালঙ্কার সহযোগে গরম গরম চপ, মুড়ি এক লোভনীয় আড্ডার পরিবেশ তৈরি করে। কাঁচালঙ্কা খেলে একধরনের তাপ উৎপন্ন হয়। যা বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply