ঋতম্ভরা ব্যানার্জি : যোগাসন হলো পরম উপকারি এক ব্যায়াম যেটি আমাদের শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক ভাবে রাখার চেষ্টা করে আর কোনও রোগ কে আক্রান্ত হতে দেয় না । রোগ মানুষের পিছু কিছুতেই ছাড়তে চায় না । এখন প্রায়শই হার্টের রোগ দেখা যায় মানুষের মধ্যে, যাদের জীবন যাপন ঠিক ভাবে চলে না তেমন মানুষের মধ্যেই বেশিরভাগ দেখা দিচ্ছে এই হার্টের রোগ। হার্টের রোগ থেকে মুক্তি পেতে যোগাসন সবচেয়ে বড় উপকারি একটি ব্যায়াম যা হৃদরোগ থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, থাইরয়েড,প্রেসার,সুগার,কোলেস্টেরল,ওজন বেশি এধরনের রোগ থাকলে হার্টের প্রচুর সমস্যা দেখা দেয় এ ধরনের রোগ যা আমাদের শরীরের জন্য খুব খারাপ। বেশিরভাগ দেখা যায় টেনশন আর ডিপ্রেশন এর কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় মানুষের। সবচেয়ে ভালো কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম হচ্ছে হাঁটা। মোটামুটি দ্রুত গতিতে হাঁটলে অনায়াসে হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি হয়। স্টেন সহ হার্টের রুগীর জন্য হাঁটা খুব জরুরী। অল্প সময় জন্য ধীরে ধীরে হাঁটা শুরু করে পরে গতি ও সময় বাড়াতে হবে। হাঁটা খুব উপকারি হার্টের মানুষের জন্য। হাঁটলে শরীর ও ভালো থাকে আর মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সুস্থ হার্ট বজায় রাখতে নিয়ম করে ব্যায়াম করা,পর্যাপ্ত করে খাওয়া দাওয়া করা,পর্যাপ্ত করে ঘুমানো,ধূমপান ত্যাগ করা,সুষম খাদ্য খাওয়া,মানসিক চাপ কমানো, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা,কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। দিনে ২৪ ঘন্টা মধ্যে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে হার্টের কঠিন সব রোগ দূরে থাকবে। ব্রিস্ক ওয়াক,হাঁটা,জগিং ,সাইক্লিং ,সাঁতার কাটা, শরীরের সার্বিক ফিটনেস বাড়ায়। অ্যারোবিক ব্যায়াম ব্লাডপ্রেশার হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণ করে। হার্টের অসুখ থেকে বাঁচতে চাইলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে পারে। ধমনীতে ব্লকেজ দেখা গেলে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করে স্টেন্ট প্রতিস্থাপন করার পর বা বাইপাস করে গ্রাফ্টিং করার পর সব বিপদ চুকে যায় না। লাগামছাড়া অনিয়মিত জীবনযাপন করলে ফের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারি হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে হৃদ্যন্ত্র কে সুরক্ষা দেয় এমন ওষুধ গুলো গ্রহণ করতে হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply