আনোয়ার হোসেন। নিজস্ব প্রতিনিধি যশোর
যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় ফাতেমা খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। সোমবার সকালে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী সোহান হোসেন কে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে চলে যায় তার স্বামী ও স্বজনরা। নিহত ফাতেমা অভয়নগর উপজেলার জিয়াডাঙ্গা গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে।
নিহতর স্বজনরা জানায়,গত দুই মাস আগে ফাতেমার সঙ্গে বিয়ে হয় মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে সোহান হোসেনের সাথে। বিয়ের পর থেকে আড়ৎ ব্যবসার জন্য তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন সোহান। কিছুদিন আগে টাকার জন্য ফাতেমাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সোহান।
সর্বশেষ শনিবার শ্বশুরবাড়ি এসে এক লাখ টাকা সহ স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসেন সোহান নিজেই।
বাড়িতে ফিরে বাকি দুই লাখ টাকার জন্য তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১টার সময় ফাতেমাকে মৃত অবস্থায় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে চলে যান সোহান ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় তারা ফাতেমা আত্মহত্যা করেছেন বলে তার বাবাকে ফোন করে জানায়। খবর পেয়ে সোমবার আজ ভোর বেলা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের মরদেহ দেখতে পান তার বাবা।
ফাতেমার বাবা ইয়াসিন আলীর দাবি করে বলেন, তার মেয়ের শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে একটি অন্তর্বাস টি শার্ট পরানো অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে গেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা।’ যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর বিচার জন্য দাবি করেন তিনি।
মণিরামপুর থানার ওসি নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানায়, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফাতেমার স্বামী সোহান হোসেনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply