২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্কার সংস্কার বলে, সংস্কার করতে গেলে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। কোটা থাকলেই সংস্কার। আর কোটা না থাকলে সংস্কারের কোনো ঝামেলাই নাই। কাজেই কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নাই।
ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।
৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হইল।
কোটার যে বিষয়টি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করেছেন। সেভাবেই কোটা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির চাকরি, সেটা নবম গ্রেড থেকে শুরু করে ত্রয়োদশ গ্রেড পর্যন্ত মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
‘বিসিএস ক্যাডার হয়ে যারা নিয়োগ পান, তারা নবম গ্রেডে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। সেখান থেকে শুরু করে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার কোনো বিষয় নেই। এটা পুরোপুরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
১৩ থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত কোটা পদ্ধতির বিন্যাস তুলে ধরা হলো,
‘এতিম এবং প্রতিবন্ধী যারা রয়েছেন তাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা সেখানে ৩০ শতাংশ আছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান রয়েছে। নারী কোটা ১৫ শতাংশ। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যদি কেউ থাকেন, সেটা ৫ শতাংশ এবং আনসার ভিডিপির জন্য ১০ শতাংশ। অবশিষ্ট যা আছে ৩০ শতাংশ।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘কোনো জেলায় যদি ২০ জন নিয়োগ হয়, একজন এতিম ও একজন প্রতিবন্ধী মিলিয়ে দুই জন। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হবে ছয় জন। তারপর নারী কোটায় তিন জন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যদি কেউ থাকে, সেখান থেকে এক জন। আনসার ভিডিপি থেকে থাকবে দুই জন এবং অন্যান্য সাধারণ যারা, যারা মেধার সঙ্গে আছেন তারা থাকবেন ছয় জন। ২০ জন এভাবেই বিভক্তি হবে।’
সুতরাং কোটা নিয়ে অযথা আন্দোলনের নামে প্রতারণা করা হচ্ছে সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়ে। এসব আন্দোলনকারীরা কখনো কোনভাবেই আওয়ামী লীগের পক্ষের নয়। তারা নিঃসন্দেহে বিএনপি জামাত সহ যুদ্ধাপরাধীদের নীল নকশা বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িত। ওই সকল আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করা এখন সময়ের দাবী।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply