November 22, 2024, 2:40 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
গৃহঋণের জন্য আবাসন খাতে বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার। বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- ২০২৪ অনুষ্ঠিত। বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল ফারুক খানসহ সকল জালমুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পদায়ন না করার দাবি সংবাদ সম্মেলন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল ফারুক খানসহ সকল জালমুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পদায়ন না করার দাবি সংবাদ সম্মেলন।

আজ ২২ ডিসেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার, সকাল ১১ ঘটিকা। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লেঃ কর্নেল ফারুক খানসহ সকল জালমুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে পদায়ন না করার দাবি জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম ও মাধবী ইয়াসমিন রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাফর ইকবাল নান্টুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর ২২তম জাতীয় সম্মেলন পরবর্তী কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য অকালীন অবঃ লেঃ কঃ ফারুক খানসহ তারমতো অন্য কোনো জাল মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের সংগঠনে পদায়ন না-করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন:
২২ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার বেলা ১১.০০টা, জাতীয় প্রেস ক্লাব, জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তন

বাংলাদশ আওয়ামীলীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন, বাংলাদেশ সৃষ্টিতে যার ভূমিকা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের ইতিহাস ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন কোনো ব্যক্তি যদি এই ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে পদায়িত হয় তাহলে তা বিশ্বাসজ্ঞাতকতার শামিল। কোনো ব্যক্তি যদি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ না-করেও অসত্য তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বনে যায় তাহলে সে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের চেয়েও জঘন্যতম। বর্তমানে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অকালীন অবঃ লেঃ কঃ ফারুক খানসহ কতিপয় নেতা এবং সরকারের দুইজন মন্ত্রী, একজন প্রতিমন্ত্রী জাল মুক্তিযোদ্ধা হয়েছে মর্মে জনশ্রুত, যাদের তথ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ চলমান। ফারুক খানের বৃত্তান্ত আমরা জানার পর গত ১১ই ডিসেম্বর ২০২১ অকালীন অবঃ লেঃ কঃ ফারুক খান তার সেনা পরিচয় গোপন করে স্বাধীনতা ৫০ বছর পর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেট ভুক্তির প্রতিবাদ শিরোনামে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছিলাম। ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও অদ্যাবধি তিনি তার স্বপক্ষে কোনো যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী ও মানবতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার, তাদের পরিবারের কোনো সদস্য যেন তথ্য-পরিচয় গোপন করে আওয়ামীলীগে প্রবেশ করে সংগঠনের পবিত্রতা নষ্ট করতে না-পারে সে-লক্ষ্যেই আজকের এই আয়োজন।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
গোপালগঞ্জ-০১ আসনের সংসদ-সদস্য অকালীন অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কঃ জনাব ফারুক খান সেনাবাহিনীর তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হতে ব্যর্থ হওয়ার পর সেনা পরিচয় গোপন করে তার সংসদীয় পরিচিতি সমৃদ্ধ প্যাডে গত ০৩/০১/২১ তারিখে স্বাক্ষরিত স্মারক নং ২১৫/গোপা-/ডিও/২০২১/০৩৪ মূলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি এবং তালিকাভুক্তকরণ প্রসঙ্গে উল্লেখিত পত্র মোতাবেক জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৭২তম সভার আলোচ্যসূচি ১১.৫ এর সুপারিশ ও গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ০৩ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার প্রকাশিত গেজেট নং ৫৪৯১ মূলে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ ফারুক খান নামে নয়া পরিচয় লাভ করেছেন। ফারুক খানের লিখিত বক্তব্যের পর্যালোচনামূলক প্রকৃত চিত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি আমি মেহেদী হাসান, সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, কেন্দ্রীয় কমিটি ও সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

জাতির বিবেকগণ,
আপনাদের মাধ্যমে সকলকে অবগত করতে চাই ফারুক খান মুক্তিযোদ্ধা হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভূলুন্ঠিত হয়। সে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে যারা যুদ্ধ করেছেন সেই সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রদ্রোহী ও যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্রদ্রোহী এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে বিচারের সম্মুখীন করার শামিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির শামিল।

ফারুক খানের লিখিত বক্তব্যে ধারাবাহিক পর্যালোচনা
ফারুক খান: আমি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে অফিসার হিসেবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়ে ১৯৬৯ সালের মে মাসে দুই বছরের প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমী, এবোটাবাদে যোগদান করি।
পর্যালোচনা: এই বক্তব্য সঠিক, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রেকর্ডে সংরক্ষিত আছে।
০১

ফারুক খান: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় আমি সেখানে প্রশিক্ষণরত ছিলাম এবং ১৮ এপ্রিল ১৯৭১ আমি ২১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হই। পর্যালোচনা: এই বক্তব্য সঠিক, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রেকর্ডে সংরক্ষিত আছে।

ফারুক খান: বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আমার আস্থা ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আমি ১৪ই আগস্ট ১৯৭১ সালে কোয়েটা অফিসার্স মেসে তথা কথিত পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে পাকিস্তানের জাতির জনক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ছবি ছিড়ে ফেলায় আমাকে শাস্তি হিসেবে প্রথমে গ্রেফতার এবং বিচার শেষে কঠোর ভৎস্না (Severe Displeasue) প্রদান করা হয়েছিল, যা আমার সার্ভিস নথিতে লিপিবদ্ধ আছে।

পর্যালোচনা: আবেদনের সাথে সার্ভিস বুকের কপি নাই, কপি সংযুক্ত করলে তা সহায়ক হতে পারে অন্যথায় এই বক্তব্য হাস্যকর ও অসত্য বটে যা মিথ্যাচার । আমার জানামতে, ফারুক খানের সার্ভিস বুকে লিপিবদ্ধ নাই।
ফারুক খান: পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের নিমিত্তে আমি পাকিস্তানের জাফরওয়াল সেক্টরে মোতায়েন থাকার সময় ১৯৭১ সালের ১২/১৩ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে ভারতের সামবা-কাটওয়া সেক্টরে ভারতের সেনাবাহিনীর নিকট আত্মসমার্পণ করি। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমি ভারতের কোর হেড কোয়ার্টারে কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে. কে. সিংহ-এর সাথে সাক্ষাৎ করি।

পর্যালোচনা: ফারুক খানের বক্তব্য এই অংশ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ নয়, গ্রেফতার হয়েছিল। ০৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভারতের পশ্চিম সীমান্তে আক্রমণ করে যেখানে পাকিস্তানের ২৪ পাঞ্জাব ব্যাটেলিয়ান যুদ্ধে অংশ নেয়। ফারুক খান উক্ত ব্যাটেলিয়ানের সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ ভারত পাকিস্তানের ঐ পুরো ব্যাটেলিয়ান ক্যাপচার করে নেয়।

ফারুক খান: পরবর্তীতে ১৫ই ডিসেম্বর আমাকে ট্রেনযোগে নতুন দিল্লীতে অবস্থিত ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নেয়া হয় এবং নতুন দিল্লির সাফদার জাং এনক্লেভে অবস্থান করি। ১৬ই ডিসেম্বর ভোরে আমি জানতে পারি ভারতীয় সেনাবাহিনী ও মুক্তি বাহিনীর নিকট পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করবে, ঐদিন বিকালেই আত্মসমর্পণ করে এবং দেশ স্বাধীন হয়ে যায়। পরে ট্রেনযোগে আমাকে কলকাতা নেয়া হয় এবং সেখানে ৮নং থিয়েটার রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ দুতাবাসে হস্তান্তর করা হয়।
পর্যালোচনা: ১৪ – ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত ভারত পাকিস্তানের পুরো ব্যাটেলিয়ান ক্যাপচার করে রাখে। ১৬ই ডিসেম্বর যখন মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর নিকট পাকিস্তান বাহিনী আত্মসমর্পণ করে ঠিক তার পরপরই ভারত পশ্চিম প্রান্তের যুদ্ধ বিরতী ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রীয় ও যুদ্ধরীতি অনুযায়ী পাকিস্তান সৈন্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয় আর ফারুক খানের যেহেতু পূর্ব পাকিস্তান বাড়ি সেহেতু তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লীতে প্রেরণ করে। দীর্ঘদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বাংলাদেশ দুতাবাস কলকাতায় হস্তান্তর করা হয়।

ফারুক খান: সে সময় জনাব হোসেন আলী ছিলেন উক্ত মিশনের প্রধান। বাংলাদেশ মিশনে অবস্থানকালীন সময় জনাব এইচ টি ইমামসহ অন্যান্য কর্মকর্তার সাথে আমার পরিচয় হয়। কয়েকদিন পর আমি সড়ক পথে যশোর হয়ে ঢাকা আসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করি।
পর্যালোচনা: যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কলকাতায় জনাব হোসেন আলী উক্ত মিশনের প্রধান ছিলেন, সেহেতু ফারুক খানকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের পর মিশনে কর্মরত সকলের সাথে সাক্ষাৎ হবে এটা স্বাভাবিক এবং জনাব এইচ টি ইমাম যেহেতু মুজিব নগর সরকারের উচ্চপদস্থ পর্যায়ে ছিলেন তাঁকেও সেখানে দেখবেন এটাই স্বাভাবিক। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন নিয়োমিত সদস্য হিসেবে কর্মরত থাকায় তার সেটা জানার কথা নয় তবে সেনাবাহিনীর প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধারা এসব অবগত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ মিশনে অবস্থানকালীন যাদের সাথে দেখা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করেছেন এটা সত্য যা বন্দি হিসেবে হস্তান্তরের রীতির অংশবিশেষ। ১৯৭২ সালের ৩য় সপ্তাহে আনুমানিক সকাল ১০টা থেকে ১১.৩০ মিনিট নাগাদ ফারুক খান বেনাপোল হয়ে সর্বপ্রথম স্বাধীন বাংলার মাটিতে পা রাখেন।
০২

ফারুক খান: উল্লেখ্য যে, কেবলমাত্র মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহনের জন্যই জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর কঠোর নজরদারীর মধ্যে থেকে আমি পালিয়ে ভারতে পৌঁছেছিলাম। পর্যালোচনা: তার আবেদনের এই অংশটুকু সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভারত সরকারের নিকট সংরক্ষিত মুক্তিযুদ্ধকালীন নথিপত্র দেখলে আপনারা তার বক্তব্যের অসত্য তথ্যের সন্ধান পাবেন বলে আমরা মনে করি।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা,
ভারত সীমান্তে যেখানে পাকিস্তানের সাথে ৩রা ডিসেম্বর থেকে যুদ্ধ চলছিল সেখানে উভয় দেশেই মাইলের পর মাইল মাইন পোতা তাছাড়া ফারুক খান যুদ্ধ ক্ষেত্র ছেড়ে পাকিস্তান বাহিনীর কাছ থেকে ভারতীয় বাহিনীর কাছে চলে আসলে তারা তাকে আলিঙ্গন করে নেবে এটা সম্পূর্ণ অবাস্তব। সীমান্তে ফারুক খানের সাথে একই জায়গা থেকে তার ব্যাচ মেট খান গোলাপ এর দুইপা মাইনে উড়ে চলে যায় যাকে ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয় কিন্তু ফারুক খান অক্ষত অবস্থায় ভারতীয় বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়ার পর তাকে দিল্লীতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। উল্লেখ থাকে যে উক্ত খান গোলাপ মৃত্যুর আগপর্যন্ত কখনও নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করেননি।

সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
উপর্যুক্ত বর্ণনার আলোকে ফারুক খান নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি এবং তালিকা ভুক্তির জন্য উপযুক্ত মনে করে মহান মুক্তিযুদ্ধকে তাচ্ছিল্য করেছেন এবং আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বোভৌমত্বের প্রতি আঘাত করতে ইতিহাসের ভয়াবহ বিকৃতি ঘটিয়েছেন। বিষয়টি একটি জাতি সত্তার প্রতি আঘাত যা যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের চেয়েও ভয়াবহ। সে যদি মুত্তিযোদ্ধা

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com