November 22, 2024, 11:28 pm

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
গৃহঋণের জন্য আবাসন খাতে বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ বেনাপোল পুটখালী সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার। বেনাপোল বলফিল্ড মাঠে শহীদ জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট- ২০২৪ অনুষ্ঠিত। বেনাপোল ধান্যখোলা সীমান্তে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার। টঙ্গীবাড়ীতে বীজ আলু ও সার ব্যাবসায়ী দের সাথে ইউএনওর মত বিনিময় সভা। বেনাপোল দিয়ে ভারতে পাচার হওয়া ২৪ জন কিশোর ও কিশোরী দেশে ফিরেছে। আ.লীগ নেতার জবর দখলে থাকা সরকারি ১২ বিঘা জমি উদ্ধার। রাজধানীতে কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ। ১৫ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০১ জন আসামী গ্রেফতার। যশোর পর্যটন খাতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া হবে। উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু। বেনাপোলের শহীদ আব্দুল্লাহর কবর জিয়ারত করলেন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে মহাখালীতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে নির্বাচনের রূপরেখা না থাকায় আশাহত হয়েছে বিএনপি। ভালুকায় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজার মনিটরিং ধনবাড়ী উপজেলার নব নিযুক্ত নির্বাহী অফিসারের সাথে ধনবাড়ী উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাৎ। নওগাঁ পত্নীতলার ডিগ্রি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সুমন হোসেন কে হত্যা করে গলায় ফাঁসি দিয়ে কাঁঠাল গাছের ঝুলিয়ে রহস্য জনক মৃত্যু। শার্শায় ৪ যুগ ধরে খবরের কাগজের ফেরিওয়ালা সিরাজ আর নেই। রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিতে হবে …… অধ্যক্ষ এম শরিফুল ইসলাম বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত। যশোর যৌনকর্মী প্রেমিকাকে নিয়ে দ্বন্ধে হেলপার বাপ্পি খুন। মওলানা ভাসানীকে অপমান করায় আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত প্রায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে সাহিত্য ও সংস্কৃতির সংস্কার চাই – রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী। ভালুকায় জমি দখল ও খেতের ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি …. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস। দেশপ্রেমিক লোকদের সঠিক প্রক্রিয়ায় যাচাই বাছাই করে নিয়োগ দিতে হবে …… অধ্যাপক ড. সায়েদা ওবায়েদ যশোর বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কর্তৃক ৩০ বোতল ফেন্সিডিল ও ১ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন আটক। ওষুধের দাম কমানোর আহ্বান ……এম এ আলীম সরকার গাজীপুর কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে নারী ও মাদকের রমরমা ব্যবসা

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০০ টাকার‌ও বেশি নিচ্ছে খুচরা বিক্রেতা!

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৩০০ টাকার‌ও বেশি নিচ্ছে খুচরা বিক্রেতা!

রাজধানী সহ সারা দেশে গৃহস্থালি রান্নাবান্নার জ্বালানি গ্যাসের রয়েছে তীব্র সংকট। গ্যাসের লাইন থাকলেও সরবরাহ কম থাকা এবং বন্ধ থাকার কারণে বেশিরভাগ ভোক্তাকেই বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের উপর নির্ভর করতে হয়।

গত ২০২০ সালে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ প্রদান স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় সরকার। যারফলে এলপিজি সিলিন্ডারের চাহিদা বেড়েগেছে কয়েক গুণ। এর সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে সিলিন্ডার প্রতি কয়েকশ টাকা বেশি নিচ্ছেন তারা।

দেশে এলপিজি সিলিন্ডারের মাধ্যমে গ্যাসের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বাণিজ্যিকভাবে প্রথম এলপি গ্যাস বাজারে আনে বসুন্ধরা গ্রুপ। বর্তমানে বেক্সিমকো ছাড়াও যমুনা, ক্লিনহিট, টোটাল, ওরিয়ন, ওমেরা, পেট্রোম্যাক্স, লাফার্স, জি-গ্যাস, ডেলটা, প্রমিটা, জেএমআই, টিএমএসএস ও নাভানাসহ ১৮টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সারা দেশে এলপিজি সিলিন্ডার বাজারজাত করছে।

১২ কেজি, ৩০ কেজি, ৪৫ কেজিসহ বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডার বিক্রি হয়। বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ১২ কেজির সিলিন্ডার। ৩০-৪৫ কেজির সিলিন্ডার রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়।

২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৬.০০ টাকা বাড়িয়ে ১,৪৯৮.০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

একসঙ্গে আড়াইশ টাকার বেশি দাম বাড়ানোয় এমনিতেই ক্রেতাদের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। তার ওপর এখন সরকার নির্ধারিত দামেও গ্যাস পাচ্ছেন না ক্রেতারা। ১,৪৯৮.০০ টাকার গ্যাস খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ১,৮০০ টাকায়। কোথাও কোথাও আরও বেশি। অর্থাৎ নির্ধারিত দামের চেয়ে তিনশত টাকারও বেশি নেওয়া হচ্ছে ১২ কেজির সিলিন্ডারে।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্ধারিত মূল্যে সিলিন্ডার তো পাওয়া যাচ্ছেই না, কোথাও কোথাও কমে গেছে গ্যাসের সরবরাহও। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট খুচরা বিক্রেতা বলছেন তার কাছে গ্যাসই নেই।

গ্রাহকরা বলছেন, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ব্যবসায়ীরা অসৎ প্রক্রিয়ায় সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ধানমন্ডির বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে যখন সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৩২ টাকা ছিল তখনও সেটি কিনতে হয়েছে ১৫শ টাকার বেশিতে। সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধির পর এখন তারা ১,৮০০ টাকা নিচ্ছে। যা রীতিমতো ডাকাতি।

মোঃ শাহজাহান নামে মোহাম্মদপুরের এক বাসিন্দা বলেন, সরকারি দামে এলপিজি সিলিন্ডার কখনোই বিক্রি হয়নি। সবসময় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামেই কিনতে হয়েছে। কিন্তু এবার সেটা ‘অতিরিক্তভাবে বেশি’ দামে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের তো কোনো উপায় নেই, বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। সরকারকে এটা অবশ্যই দেখা উচিত।

সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবসায়ী ধানমন্ডির ফিরোজা ডিস্ট্রিবিউশনের প্রোপাইটার ফিরোজ হোসেইনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইচ্ছে করে দাম বেশি রাখছি না। কোম্পানির লোকদের কাছ থেকে আমাদের কেনা পড়ছে বেশি দামে। আমরা তো লস দিয়ে বিক্রি করতে পারি না।

আরেক ব্যবসায়ী জিকাতলার বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের ম্যানেজার মুরাদ সরকার বলেন, কোম্পানির রেটই তো বেশি। আমাদের যদি বেশি কেনা পড়ে, তাহলে সরকারি দামে বিক্রি করার তো কোনো সুযোগ নেই। আবার দাম বাড়ার পর সাপ্লাই কিছুটা কমে গেছে। অনেক এলাকাতে সিলিন্ডার পাওয়াও যাচ্ছে না।

এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি কেন- এমন প্রশ্ন করা হয় বসুন্ধরা এলপিজি সিলিন্ডারের ডিলার শিহাব হোসেনকে। জবাবে তিনি বলেন, কোম্পানি থেকেই বেশি রেট-এ আসে, তাই দাম বেশি।

এ বিষয়ে কথা হয় বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব সেলস প্রকৌশলী জাকারিয়া জালালের সঙ্গে। তিনি বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য বেশি রাখাটা যে শুধু কোম্পানির দোষ, ব্যাপারটা তা নয়। আমাদের এ গ্যাস বিক্রির সিস্টেমে কিছু ত্রুটি আছে। সেটা নিরসনে অনেকদিন ধরেই বিইআরসিকে আমরা বলে আসছি। ত্রুটি ঠিক করা হলে নির্ধারিত মূল্যেই সিলিন্ডার বিক্রি করা সম্ভব হবে।

এলসি খোলায় সমস্যার আরেকটি কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রতি মাসে এলসি খুলে এলপিজি আমদানি করি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে এলসি খোলা যাচ্ছে না। যদি মাসে দুটি এলসি খোলা হয়ে থাকে, তাহলে একটার সঙ্গে আরেকটা এলসি খোলার যে ধারাবাহিকতা সেখানে গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। সে গ্যাপের সুযোগ নিচ্ছে ডিলার ও দোকানিরা। যখন ডিলাররা দেখে যে এ মাসে প্রোডাক্ট কম আসছে কোম্পানি থেকে, তখন তারা টার্গেট পূরণের জন্য বেশি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করে। আপনি তাদের কাছে সঠিক মূল্যের হিসাব পাবেন না। আবার দোকানি যখন দেখছে সাপ্লাই কম, তারাও তখন মজুত করে দাম বাড়িয়ে ফেলে। সুতরাং সমস্যাটা সামগ্রিকভাবে তৈরি হয়। কোম্পানি যে দামে সেল করতে চায়, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে গিয়ে তার দাম বেড়ে যায়। আমরা সবসময় চেষ্টা করি নির্ধারিত মূল্যেই গ্যাস বিক্রি করতে।

এখন প্রশাসন কঠোর হলে বা তদারকি বাড়ালে অন্তত ‘অতিরিক্ত বেশি’ মূল্যে বিক্রি হওয়াটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে- বলেন জাকারিয়া জালাল।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রশাসন ও আইন বিষয়ক সদস্য সচিব খলিলুর রহমান খান বলেন, এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেশি রাখা হলে গ্রাহকরা অভিযোগ দিতে পারবেন। তবে আমরা এখনো এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রাহকরা সচেতন হলে মূল্যবৃদ্ধির এ প্রবণতা কমে যাবে। ভোক্তা অধিকারও এ বিষয়ে কাজ করছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিদপ্তরের অভিযোগ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মাসুম আরেফিন বলেন, আমরা মৌখিক বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি কিন্তু কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা নিজেদের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছি এবং অভিযুক্তদের জরিমানা করছি।

নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে যদি কোথাও অতিরিক্ত মূল্য রাখা হয়, গ্রাহকরা যদি অভিযোগ করেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com