১১ হিজরীর ৩ রমজান জগৎ জননী হজরত ফাতেমা (আঃ) এর ওফাত দিবস; স্বাভাবিক মৃত্যু নয় হত্যা করা হয়েছিল তাকে।
হজরত মোহাম্মাদ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের মাত্র ৯০ দিনের মাথায় হজরত মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যু বরণ করেন। তার এই মৃত্যু স্বাভাবিক ছিলনা, জগৎ জননী হজরত ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে হত্যা করা হয়েছিল। তেমনি ভাবেই পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছিল হজরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লামকেও!
হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পরে ইসলামের চারজন খলীফার জীবদ্দশায় আবুবকর এর কন্যা আয়েশার ঘৃণ্য স্বরযন্ত্রে জগৎ জননী মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গর্ভবতী অবস্হায় হত্যা করা হয়েছিল।
ঘটনার যেভাবে শুরু, হজরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর আবু বকর ( রাঃ) খলীফা হন। হজরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ছিলেন হজরত মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম। হযরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরূদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারী করে আবুবকর (রাঃ)। সেই গ্রেপ্তারী পরওয়ানা নিয়ে হজরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সৈন্যবাহিনী খুঁজতে বের হয়। হজরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাড়ীতে গিয়ে সৈন্যরা দেখতে পায় দরজা ভেতর থেকে আটকানো। তখন আবুবকরের সৈন্যবাহিনী মোটা কাঠের গুড়ি দিয়ে দরজায় জোরে আঘাত করে। সেই সময়ে দরজার অপর প্রান্তে ছিলেন হজরত মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কাঠের গুড়িটি হজরত মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বুকের পাজর ও পেটে সজোরে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে জগৎ জননী দয়াল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদরের দুলারি গর্ভবতী হজরত ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রক্তপাত শুরু হয় এবং প্রচন্ড যন্ত্রনায় তাঁর গর্ভজাত সন্তান মৃত্যু বরণ করেন, এবং সেই আঘাতে আহত হওয়ার ৮৫ দিন পরে হজরত মা ফাতেমা আলাইহি ওয়াসাল্লাম জগতের মায়া ত্যাগ করে শাহাদৎ বরণ করেণ।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কি জবাব দিবেন ইসলামী জাহানের মুসলিম সাম্রাজ্য?
হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত পরবর্তী ইসলামি সাম্রাজ্যের প্রধান খলিফা হয়ে মসনদে বসার দায়িত্ব হজরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবদ্দশায় সকলকে জানিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পরে দয়াল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারক দ্রুত দাফন না করে তিনদিন রেখে দেয়া হয়! আবুবকর এর কন্যা আয়েশার প্ররোচনায় ক্ষমতার লীপ্সায় আবুবকর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই অসিয়ত অমান্য করে নিজেকে ইসলামী জাহানের খলিফা ঘোষণা করে অবৈধ পন্থায় খলিফা নিযুক্ত হন। এর পর দয়াল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র দাফন কার্য সম্পাদন করেন!
এর পরেই ক্রমবর্ধমান চক্রান্তের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ে ইসলাম ও মুসলিম জাতি। সেই ধারা ইসলাম ও মুসলিম জাতির মধ্যে আজো বিদ্যমান। বিশ্বময় আজ প্রকৃত ইসলাম বিবর্জিত মুসলিম জাতির মধ্যে চরম অশান্তি। ক্ষমতা ভোগবিলাস আর জিহাদের নামে হত্যা খুনের নৃশংসতায় লালিত বর্তমান ইসলাম ও মুসলিম জাতি। যার ফলে বিশ্বময় বর্তমানে ইসলাম ও মুসলিম জাতি একটি সন্ত্রাসী জঙ্গি জাতি হিসেবে পরিচিতির তকমা ললাটে এঁকে নিয়েছে!
মহান আল্লাহ দয়াকরে আমাদেরকে নূর এ মোহাম্মদ এর ধারায় সত্য সঠিক ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় দান করুন।
সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সম্পাদক ও প্রকাশক
দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস)
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply