আনিসুর রহমান, প্রতিনিধিঃ প্রবাসী বন্ধু পরিবারের পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুইডেন শাখার প্রস্তাবিত কমিটির সহযোগীতায়, প্রতি বারের মতো এবারও সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিন হাজার গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রিক বিতরণ করা হয়। এবং দোয়া ও ইফতার মাহফিল করা হয়।
আজ দুপুর ২ ঘটিকায়, বুধবার, ২৭ রমজান, ১৯ এপ্রিল,২০২৩ ইং ২৩ পুর্ব ইসদাইর, উপজেলা রোড, ফতুল্লা নারায়ণগঞ্জ প্রবাসী বন্ধু পরিবারের স্থায়ী কার্যালয়ে। ঈদ সামগ্রিক বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন – খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, সহ সভাপতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগ, চেয়ারম্যান ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- জনাব এম এ ফারুক প্রিন্স,
সদস্য কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তুরুস্ক আওয়ামী লীগ, তুরস্ক প্রবাসী।
প্রধান আলোচক- জনাব মেহেবুবুল হক তালুকদার টগর, সিনিয়র সহ সভাপতি ফতুল্লা থানা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ক্রীড়াবিদ ও সমাজ সেবক। প্রধান উপদেষ্টা রুপসী বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। সিনিয়র সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা উশু এসোসিয়েশন।
সভাপতিত্ব করবেন- হাজী মো: সেলিম রেজা, চেয়ারম্যান এইচ বি সি হাই পাওয়ার লিমিটেড, প্রধান উপদেষ্টা, প্রবাসী বন্ধু পরিবার। সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা উশু এসোসিয়েশন। হংকং প্রবাসী।
উপস্থাপনা করবেন- হাজী মিজান প্রধান, সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা উশু এসোসিয়েশন। আহবায়ক নারায়ণগঞ্জ জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতি। সাবেক ইতালি প্রবাসী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাফিক উল্লাহ মুন্সি, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পর্তুগাল আওয়ামী লীগ। জাহাঙ্গীর ফরাজি সি আই পি, সদস্য কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাবেক সহ সভাপতি ইতালি আওয়ামী লীগ। মোহাম্মাদ আতিকুজ্জামান আতিক, সহ সভাপতি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফ্রান্স শাখা, সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফ্রান্স আওয়ামী লীগ। হুমায়ুন কবির, সভাপতি ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ, সমন্বয়ক সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগ, উপদেষ্টা প্রবাসী আন্তর্জাতিক উশু এসোসিয়েশন। মোহাম্মদ আলিমুল্লাহ খোকন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কানাডা আওয়ামী লীগ,সিইও জাজ মাল্টিমিডিয়া। মো: জনি ব্যাপারি, সভাপতি চায়না আওয়ামী লীগ, সহ সভাপতি প্রবাসী আন্তর্জাতিক উশু এসোসিয়েশন। এডভোকেট মো: কামাল হোসেন, সিনিয়র সহ সভাপতি, বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন। সাবেক সহ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটি। মো: দুলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন। মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, সদস্য কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আব্দুল মালেক সর্দার সহ সভাপতি ফতুল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ। মো: সাইদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, সহ সভাপতি ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশন। মো: জসিম উদ্দিন জসিম, সভাপতি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, নারায়ণগঞ্জ জেলা। সহ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা তাতী লীগ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা উশু এসোসিয়েশন। সভাপতি একতা দুস্থ কল্যাণ সংস্থা। মো: নুরুল ইসলাম, পুলিশ কর্মকর্তা। জয়নুল আবেদীন, পুলিশ কর্মকর্তা। গোলাম রসুল, এন এস আই কর্মকর্তা আজহার উদ্দিন পি বি আই কর্মকর্তা। কামরুল হাসান র্যাব কর্মকর্তা। আব্দুস সালাম ব্যাপারি, সাধারণ সম্পাদক, দিগু বাবুর বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি, ও আওয়ামী লীগ নেতা। রেসমা আক্তার সুমি, সদস্য বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী যুবলীগ। যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুপসী বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। নাসির উদ্দীন নাসির, সাধারণ সম্পাদক তাকওয়া জামে মসজিদ। আব্দুল আউয়াল, মেম্বার ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ, সভাপতি ফতুল্লা ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ। মো: মাসুদুর রহমান শামীম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, সভাপতি সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ। চৌধুরি এইচ এম সাহেদ ফারুক, সদস্য কেন্দ্রীয় তাতী লীগ, সভাপতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাতী লীগ। মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ। মফিজ উদ্দিন সর্দার, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ। গাজী আলমগীর হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক, সভাপতি, রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়। মো: শাহজাহান সাজু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মোহসিনা আক্তার মোহনা, সমাজ সেবিকা। আব্দুল বাসেদ রতন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। শহিদুল হক রানা, সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। হাজী রফিক সোলায়মান, শিল্পী সমালোচক, লেখক ও গভেষক। ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাধন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। জাহাঙ্গীর হোসাইন, সহ সভাপতি মোফাসসল সাংবাদিক ফোরাম। শাহ মোঃ জুবায়ের যুব, সহ সভাপতি রুপসী বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। জাহাঙ্গীর মল্লিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক, আওয়ামী লীগ নেতা, ইতালি প্রবাসী। শাহজাদা খান শাওন, সাংবাদিক ও সমাজ সেবক। মো: সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মো: ইসমাইল হোসাইন, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। মোহাম্মদ নুর আলম আকন্দ, কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাব। রোটারিয়ান আশরাফুজ্জামান সজিব। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি – সজিব’স একাউন্টিং এসিস্ট্যান্ট গভর্নর, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট -৩২৮১। এডভোকেট হুমায়ুন কবির, সমাজ সেবক। আব্দুল মান্নান ব্যাপারি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মো: সিপন হাওলাদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক।
সহযোগিতায় ছিলেন- হাজী মো: সেলিম রেজা, চেয়ারম্যান এইচ বি সি হাই পাওয়ার লিমিটেড। ফকরুল আকম সেলিম, সভাপতি বাংলাদেশ কমিউনিটি তুলুস ফ্রান্স,সহ সভাপতি অল ইউরোপীয়ান বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (আয়েবা)। খোকন মজুমদার, সভাপতি ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ, সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডেনমার্ক আওয়ামী যুবলীগ। মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক সভাপতি, সুইডেন আওয়ামী যুবলীগ। ফকির মিজানুর রহমান, সভাপতি সুইডেন আওয়ামী যুবলীগ প্রস্তাবিত। জহিরুল আলম জসিম, সভাপতি পর্তুগাল আওয়ামী লীগ। অলক সরকার, সাধারণ সম্পাদক, ডাবলিন আওয়ামী লীগ। নোমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী যুবলীগ। মো: হেনু মিয়া, সভাপতি জালালাবাদ এসোসিয়েশন ফ্রান্স। মো: সাইদুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, কোলথ আপ নিট ওয়ার। শফিকুল ইসলাম সবুজ, পরিচালক, রাইয়ান ট্রেডার্স এন্ড রাইয়ান গার্মেন্টস। মো: দুলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ উশু ফেডারেশন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সুইডেন প্রস্তাবিত কমিটি। রুপসী বাংলা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। বাংলাদেশ মানবাধিকার সোসাইটি। তুরুস্ক আওয়ামী লীগ। গ্রীস আওয়ামী লীগ। ফিনল্যান্ড আওয়ামী লীগ। আয়ারল্যান্ড ডাবলিন আওয়ামী লীগ। পর্তুগাল আওয়ামী যুবলীগ। সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটি।
আয়োজনে- মোহাম্মদ রিপন ফকির, চেয়ারম্যান প্রবাসী বন্ধু পরিবার, সদস্য কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সমন্বয়ক সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগ সমন্বয় কমিটি, সভাপতি প্রবাসী আন্তর্জাতিক উশু এসোসিয়েশন। সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গ্রীস আওয়ামী লীগ, সাবেক সহ সভাপতি গ্রীস আওয়ামী লীগ।
প্রবাসী বন্ধু পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রিপন ফকির বলেন- আসুন প্রবাসীদের কে ভালবাসি, প্রবাসীরা দেশের জাতীয় সম্পদ, সম্মান করে কথা বলুন। আমি একজন প্রবাসী, আমি জানি আমার দেশের মেহনতি মানুষগুলো কি পরিমান কষ্ট করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন! নিজ পরিবারের জন্য, দেশের জন্য , পরিবারের সন্তানটির মুখে হাসি ফুটানোর জন্য আজ তারা নিজ জীবনকে উৎসর্গ করে প্রবাস জীবন বেছে নিয়েছেন। নিজ দেশে নিজের আত্মসম্মান সহ ভালো কোন চাকরি, ব্যবসা দিয়ে দিন চালাতে না পেরেই আজ তারা বিদেশী জীবন বেছে নিয়েছে। তারা পরিবারের বাহিরের মানুষটির কাছে সামান্য সম্মান পাওয়ার জন্যই আজ এ কষ্টের পথ বেছে নিয়েছে। হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আজ বিভিন্ন দেশে চাকরি করছে। যেই চাকরিটি আত্বসম্মানের ভয়ে নিজ দেশে করতে পারছেননা! তার চাইতেও কঠিন চাকরি বিদেশের মাটিতে করে পরিবারের পাশে মানবতার খুঁটি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আমার প্রবাসী ভাইয়েরা।
বহু প্রবাসী নিজের জীবনকে বিলিয়ে তার সন্তানকে পড়াশুনা করাচ্ছে। নিজ মেয়েকে সঠিক পাত্রে পাত্রস্থ করার জন্য নিজের পরনের কাপড় না কিনে মেয়ের জন্য ভালো জামা কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। অনেকে তার বাবা মা, সংসারের ভাই বোন, স্ত্রীর পিছনে জীবনের সমগ্র ইনকাম খরচ করে জীবনের শেষ সময়ে খালি হাতে দেশে ফিরে যাচ্ছে!
বিদেশ উন্নত তাই মানুষ মনে করে যে,আমাদের ভাইয়েরা মনে হয় কত কি করে ফেলেছে? তারা হয়ত কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে চলেছেন! আরো কত কি ! কিন্তু সত্যিকার চিত্র হচ্ছে বিদেশ উন্নত হচ্ছে কিন্তু আমাদের প্রবাসী ভাইদের কোনই উন্নতি হয়নি। ওদের কান্নার আওয়াজ চার দেয়ালের মাঝেই চাপা পরে আছে।আমার ভাইয়েরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জন মানুষের কল্যানে জীবনকে বিলায়ে দিচ্ছেন। ঠিকমতো কারো কাছ থেকে সঠিক কোন পরামর্শ বা উপকার থেকেও উপেক্ষিত আমার দেশের প্রবাসী ভাইয়েরা।
বিদেশের মাটিতে যাওয়ার সময়ও পরিবারের থেকে ধার দেনা করে বিদেশে পারি জমাচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে পরিবারের খরচ পাঠানোর পরে নিয়মিত ভিসা পাসপোর্ট রেনিউ পর্যন্ত করাতে হিমশিম খেতে হয় প্রবাসীদের।দালালের খপ্পরে পরে এক সময়ে ভিসা পাসপোর্ট সবই হারাতে হয়। আবার আমাদের এম্বাসির পক্ষ থেকেও সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সহযোগীতা না পাওয়ায় ভুক্তভোগীর স্বীকার হতে হচ্ছে সাধারন প্রবাসীদের।
পরোক্ষনেই আবার একদল মানবরুপি প্রভাবশালী মহল এই প্রবাসীদের নিয়েই বিভিন্ন উপায়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছেন। প্রবাসীদেরকে বিক্রি করেই আজ তারা তাদের সামাজিক স্টেটাস বৃদ্ধি করছেন! কেউ কেউ আবার বিভিন্ন দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতা বনে গিয়েছেন।কিন্তু এতোসব অপকর্মেও প্রবাসীরা কাউকে পক্ষ প্রতিপক্ষ ভাবছেননা। প্রবাসীরা সব সময়েই নিরপেক্ষ নিরিহ হিসেবে দিন যাপন করছেন! প্রবাসীরা নিজ কর্মে অর্থ কামাই করে পরিবার ও দেশের সম্মান সমুন্নত করে চলেছেন।
কিন্তু প্রবাসীদের নিরবতাকে পুজি করে একদল মানুষ যখন আজ তাদেরকে জঙ্গলের সাথে তুলনা করে! প্রবাসীদেরকে দোষারোপ করতে গিয়ে নারী, মদ, জুয়ায় টাকা নষ্ট করছে বলে তোহমত দেয়া হয়!! তখন সত্যিই একজন প্রবাসী হয়ে চুপ থাকা কোন ভদ্র, দেশপ্রেমিক মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। আমিও পারিনি চুপ থাকতে। স্বাধীনতার ৫০ বছরের উন্নয়নের সিংহভাগই হয়েছে আমার প্রবাসীর টাকায়। প্রবাসীকেই আমারা আমাদের স্বার্থে বলি রেমিট্যান্স যোদ্ধা! অথচ বহু ভূয়া যোদ্ধারা দেশটাকে লুটে পুঁটে খাচ্ছে সেখানে আমার প্রাবাসী ভাইয়েরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়েও উপেক্ষিত সবসময়।
আমার প্রবাসী ভাইয়েরা দেশে বিদেশে সব যায়গায় উপেক্ষিত! তারা বিদেশেও যেমনি কষ্ট করে জীবন পরিচালনা করছেন,আবার দেশে গেলেও যথাযথ সম্মান থেকে তারা উপেক্ষিত। বহু কষ্ট করে টাকা জমিয়ে ১০/১২ বছর পরে দেশে যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চোখ রাঙানী সহ্য করে মেনে নিতে হয়। অনেকে তার শেষ সম্বল ব্যাগ লাগেসটি পর্যন্ত খুঁজে পাননা। এয়ারপোর্ট এ ই চুরি হয়ে যায় প্রবাসীর সম্বলটুকু। আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হাজার হাজার প্রবাসীর লাশ মর্গে পড়ে আছে কিন্তু কেউ নেই তাদেরকে উদ্ধার করে দেশে পাঠানোর মতো ব্যাবস্থা করার! জীবন থাকতেও প্রবাসী ভাইটি ছিলো উপেক্ষিত, আবার মৃত্যুর পরেও সীমাহীন অবজ্ঞা, অবহেলায় লাশগুলো পড়ে আছে মর্গের ফ্লোরে। এইতো প্রাবাসীর জীবন! এইতো তাদের সম্মান!
আমার দেশ আজ স্বাধীন হয়েছে মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু আমরা কি ৫০ বছরে তা সত্যিই অর্জন করতে পেরেছি?? না পারিনি। হা পেরেছে কিছু মানুষ!যারা কিছু নাই থেকেও আজ হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। যারা বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিচয় পরিবর্তন করে বাড়ী, গাড়ী , দেশ বিদেশে সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন। কিন্ত আমার সহজ সরল প্রবাসী ভাইয়েরা কিছুই করতে পারেনি জীবনের শেষ দিনটিতেও।
প্রবাসীরা আপনাদের কাছে কিছু চায়না, আপনারা প্রবাসীদের জন্য কিছু দিতেও পারবেননা।প্রবাসীরা নিজ পায়ে হালাল উপায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। প্রবাসীরা বাংলাদেশের সম্মান উঁচু করে বিশ্বের দরবারে দেখিয়ে দিতে চায়, প্রবাসীরা ন্যায়ের পথে চলে পরিবারে শান্তি চায়।
পরিশেষে বলতে চাই, গলা মোটা করে প্রবাসীদের বিরোধীতা না করে আসুন, আমার ভাইদেরকে সম্মান করে কথা বলি। সম্মানটুকু কেড়ে নেয়ার অধিকার আপনার আমার কারোরই নাই।সম্মান দিলে সম্মান পাওয়া যায়। কোটি প্রবাসী আমাদের সম্পদ, আসুন এই সম্পদ রক্ষায় তাদের পাশে দাঁড়াই। তাদেরকে সম্মান করি। তাহলেই বাঁচবে দেশ, বাচবে মানবতা। আল্লাহ আমাদের সুমতি দান করুন। আমিন।
দেশের অর্থনীতির যেসব খাত নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি, তার একটি হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। দেশের প্রতি টান ও ভালোবাসা সবারই থাকে। কিন্তু প্রবাসীরা সেই টান-ভালোবাসা, পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে পাড়ি দেন বিদেশে।
একটু ভালো উপার্জনের আশায় তারা বছরের পর বছর বিদেশে পড়ে থাকেন। তাদের উপার্জনের ওপর নির্ভর করে দেশে থাকা পরিবারের ভরণপোষণ। শুধু তাই নয়, আমাদের আকাশচুম্বী চাওয়া-পাওয়ার অনেকটাই নির্ভর করে প্রবাসীদের ওপর ভরসা করে। তারা সাধ্যমতো হাসিমুখে তাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে যান পরিবার ও দেশকে।
প্রবাসীরা দেশ ও পরিবারকে অনেক কিছু দেন। তাদের কষ্টার্জিত অর্থে আমরা অনেকেই দামি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ফোনটা আপডেট না হলে আমরা মন খারাপ করি। কিন্তু আমরা একবারও চিন্তা করি না তাদের কষ্টের কথা।
যে অর্থ দিয়ে আমরা বিলাসিতা করি সেই অর্থ উপার্জনে তাদের পরিশ্রমের কথা আমাদের বিবেচনায় থাকে না। এসব আর্থিক যোদ্ধা, যাদের রেমিটেন্সের টাকায় আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে, তাদের ব্যাপারে আমাদের ইতিবাচক মনোভাব থাকা উচিত। প্রবাসীরা দেশে এলে বিমানবন্দর থেকেই শুরু হয় যন্ত্রণা। ইমিগ্রেশনে পোহাতে হয় ঝামেলা।
ইমিগ্রেশন অফিসারের অসৌজন্যমূলক আচরণ প্রবাসীদের পীড়া দেয়। বিদেশ থেকে শৌখিন কোনো কিছু নিয়ে এলে অনেক ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন অফিসারকে খুশি করে আসতে হয়ে। নইলে আটকে দেয়া হয় পণ্য। তাছাড়া দেশে-বিদেশে সরকারি অফিসে কোনো কাজের জন্য গেলে তাদেরকে নানাবিধ ঝামেলা পোহাতে হয়। ফলে তারা হতাশ হয়ে যান। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে।
প্রবাসীদের প্রতি আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো প্রয়োজন। তাদের কষ্টার্জিত অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার করা উচিত। তাদের কাছে আকাশচুম্বী চাওয়ার আগে তাদের সামর্থ্যরে প্রতি লক্ষ রাখা দরকার। প্রবাসীদের কল্যাণে সরকারকেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
দেশে ও প্রবাসে অফিসিয়াল কাজকর্মে তাদেরকে ফাস্ট ট্র্যাকের আওতায় সেবা প্রদান করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রবাসীদের কল্যাণ সাধনে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রবাসীরা যাতে কোথাও কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের খেয়াল রাখা উচিত।
তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা, রেমিটেন্স পাঠানো সহজীকরণ, নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্র এবং বিদেশ ফেরতদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে। এতে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু পরিচর্যা হবে। রেমিটেন্স বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। সর্বোপরি, প্রবাসীরা ভালো থাকলে ভালো থাকবে বাংলাদেশ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply