বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানি ছত্রছায়ায় আনার জঘণ্য চক্রান্ত আমেরিকার নরেন্দ্র মোদীর জরুরী বৈঠক।
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারত প্রতিনিধিঃ রশিয়ার বরাবরের শত্রু আমেরিকা তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার এক জঘণ্য চক্রান্ত করে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিতে চাইছে। বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এনিয়ে সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। নতুন দিল্লিও এই ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাশিয়াকে কুপোকাত করতে আমেরিকা এর আগে আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে ফিরে আসার সুযোগ দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ক্রমাগত ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে আমেরিকা। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারতের মনোভাব নিয়ে অনেকটা কোণঠাসা আমেরিকা আবারও পাকিস্তান এবং চীনের কাছাকাছি আসতে চলেছে।
এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার সংগ্রাম করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কব্জা থেকে মুক্তি করেছেন। সেই সংগ্রামে ভারত বঙ্গবন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছে। এতে আমেরিকার ভারত বিরোধী মনোভাব তীব্র হয়েছে। আমেরিকা চায়নি বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে যাক। তাই বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি পাকিস্তানকে মদত দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া সরাসরি আমেরিকার পাঠানো যুদ্ধ জাহাজ সপ্তম নৌবহরকে সমুদ্র পথেই রুখে দেওয়ার ফলে ভারতীয় সেনা এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তি যোদ্ধারা স্বাধীনতা কায়েম করতে সফল হয়েছে।
ভারতের পরম বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশের রাজনীতিতে উথাল পাথাল করতে চলেছে আমেরিকা। সিক্রেট সার্ভিস ও গোয়েন্দাদের মাধ্যমে সংবাদ এসেছে আমেরিকা পাকিস্তান এবং চীনের ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশ নেশনাল পার্টির বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আবার ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় করছে। এজন্য শেখ হাসিনা সরকারকে ফেলে দেবার নোংরা খেলায় মত্ত হয়ে পড়েছে জো বাইডেন সরকার।
এর কিছুদিন আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধান মন্ত্রী ইমরান খান সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছেন, আমেরিকাই তার গদি ছিনিয়ে নিয়েছে চক্রান্ত করে। আফগানিস্তানে সেখানকার সরকারের ওপর থেকে সামরিক ছত্র তুলে নিয়ে তালেবানকে শাসন ক্ষমতায় আনার কৃতিত্বও জো বাইডেন সরকারের।
ইমরান খানকে সরানোর পর এবারে আমেরিকার নজর বাংলাদেশের শেখ হাসিনার ওপর। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিতে পারলে বেগম খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী হয়ে আবার চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে মিত্রতা বাড়িয়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন। একই সঙ্গে ভারতের সীমান্তে আবার পাকিস্তানি সন্ত্রাসের ময়দানের ভীত শক্ত হবে। আবার বাংলাদেশকে স্বায়ত্ব শাসন দিয়ে পাকিস্তানের আওতায় নিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে ভারত রাশিয়ার বিপক্ষে না গিয়ে যেভাবে আমেরিকার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করেছে এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক শিবিরে আমেরিকার নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেছে তাতে আমেরিকা রুষ্ট। এর পর গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো ভারত রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় করে আমেরিকাকে এক বড় রকমের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। আমেরিকা সহ পশ্চিম তথা ন্যাটোর দেশ গুলির রাশিয়ার ওপর আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও ভারত একাজ করেছে।
এর আগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার গোসসাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক সংস্কার ও উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। বহু অত্যাধুনিক প্রকল্পের কাজ শেষ হবার পর এখন সেখানে প্রচুর প্রকল্পের কাজ চলছে।
এই প্রকল্প গুলির মধ্যে অনেকগুলি ভারতের সহযোগিতায় এগিয়ে চলেছে। এমন অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিলে সমস্ত প্রকল্পের কাজ বানচাল হয়ে যাবে। ভারতের সীমান্ত আবার নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। এটা ভারতের কাছে বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। এবারেও রাশিয়া চুপ করে বসে থাকবে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিছুতেই এটা মেনে নেবেন না। তাহলে আবার একটি বড় রকমের সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে আমেরিকা? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন এমন চক্রান্ত বরদাস্ত করা হবে না।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply