আনোয়ার হোসেন, ভালুকা প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নে খীরু নদীর উপর ঘূর্নিঘাটের সেতু হস্তান্তরের আগেই দুই পাশের সংযোগ সড়কের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। গত শনিবার এলজিইডি ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফাজ্জামান ও ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
সূত্রে জানাগেছে, উপজেলায় মল্লিকবাড়ি ইউনিয়নে খীরু নদীর উপর ঘূর্নিঘাটের সেতুর ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮১ মিটার,প্রস্থে ৭ দশমিক ৩ মিটার এবং একশ মিটার করে দুই পাশের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ২০০ মিটার। নিমার্ণ ব্যায় ৬ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর। মেসার্স চৌধুরী এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান সেতুটির নিমার্ণ কাজ করছে। ২০২১ সালের ২৯ জুন সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে না পারায় তিন দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরমধ্যেই সেতুর উভয় পাশের সংযোগ সড়কের দুইপাশে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ফাটলের আকার বড় হয়ে সেতু সংলগ্ন স্থানে সড়কের একাধিক অংশ দেবে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সংযোগ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে সেতুর ব্যবহার ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার কাজে নিন্ম মানের খোয়া ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়ম করেছেন ঠিকাধার।
স্থানীয় করিম বলেন, রাস্তায় নতুন করে মাটি ভরাট করে সঠিক ভাবে ডলা(রোলিং) দেয়নি। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা ফেটে ভেঙ্গে যাচ্ছে।আর তিন নাম্বার খোয়া দিয়েছে রাস্তায় তাই এমন হয়েছে।
স্থানীয় আরেক ব্যক্তি মোঃ হযরত আলী বলেন, রাস্তার নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে ঠিকাধারের লোকজনকে একাধিক বার বলা হলেও তারা কোনো ধরণের কর্ণপাত করেননি। অনিয়ম করেই কাজ শেষ করেছে। যার ফলে ১৫ দিনের মাথায় রাস্তা ধসে গেছে।
মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী ফারুখ আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, নক্সা অনুসারে কাজ করা হয়েছে। নক্সার ত্রুটির জন্য যদি রাস্তা ক্ষতিগ্রপ্ত হয়ে থাকে তাহলে ওই দায়িত্ব এলজিইডির।
ভালুকা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মাফুজুর রহমান বলেন, সেতুর কাজ বুঝে নেওয়া হয়নি। ঠিকাদারের কাজের ফাইনাল বিলের ৮০ লাখ টাকা বাকী রয়েছে। সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply