বিএনপির নেতৃবৃন্দের মন্তব্য খেলা এখনও শেষ হয়নি। আসল খেলা শুরু হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে বিএনপির একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা করবে, তাদের টার্গেট, কিলিং মিশনে অংশ নিবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী বা বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতিমান এ রকম কিছু ব্যক্তির ওপর আক্রমন করা হবে, তাদের হত্যার চেষ্টা করা হবে। এই টার্গেট কিলিং মিশন এবং বড় ধরনের স্থাপনা নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে দলটি। আর এ জন্য গঠন করা হয়েছে তারেক ব্রিগেড নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ।
লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার নামে এই সন্ত্রাসী ব্রিগেড গঠন করা হয়েছে। এই ব্রিগেডের সরাসরি তত্তাবধানে রয়েছে লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর পর্বেও তারেক রহমানের একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক ছিল। ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময় তিনি একই ধরনের একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক তৈরী করেছিলেন। এই নেটওয়ার্কে শুধু বিএনপি কর্মীরা ছিল না। সঙ্গে ছিল বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনের সশস্র ক্যাডাররাও । এবারও সেই একই কায়দায় বিভিন্ন জঙ্গী সংগঠনকে সংঘবদ্ধ করেছেন তারেক রহমান। এসমস্ত জঙ্গী সংগঠন গুলোই তারেক ব্রিগেডের হয়ে কাজ করবে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে দেশে একটি উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরী করা।
অফস্থা প্রেক্ষিতে বুঝা যায়, ২৮অক্টোবর বিএনপি কর্তৃক প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছিল সেটা শুধুমাত্র একটা টেস্ট স্ট্যাডি। পুলিশ কনস্টেবল আমিনুলকে যে ভাবে হত্যা করা হয়েছিল সেটাই বিএনপির সন্ত্রাসী সংঘাতের অপকর্মের শেষ নয়, বরং শুরু মাত্র! এটা করে তারা দেখলো যে, তারা কতটুকু নাশকতা করতে পারে, তাণ্ডবের মাত্রা কতটুকু গভীরে গেলে সরকার বিচলিত হবে। আর এ কারনেই এখন তারা অবরোধের যে কর্মসূচি দিচ্ছে সে কর্মসূচি গুলোতে খুব একটা মাঠে নামছে না। তারা চুপচাপ বসে আছেন। অবরোধের সময় বিক্ষিপ্ত যে ঘটনাগুলো ঘটছে সে ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীরা।
বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিট পর্যায়ের ছাত্রদল-যুবদলের সদস্যরাই এ ধরনের নাশকতা, গাড়ীতে হামলা কোথাও বিক্ষিপ্তি আক্রমন ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু আসল আক্রমনের এক ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে বসে আছে লন্ডনে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান। তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গী সম্প্রদায়ের, জঙ্গী গোষ্ঠির সম্পর্ক রয়েছে। তাদের একটা নেটওয়ার্ক আছে। এর মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্রের যোগানও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারেক ব্রিগেডের সদস্য বাছাই করা হয়েছে খুব পরিকল্পিত ভাবে। যারা তারেক রহমানের অন্ধ ভক্ত এবং তার জন্য সব কিছু করতে পারে এমন ব্যক্তিদেরকে বাছাই করা হয়েছে। এদের অবস্থান ঢাকাতেই। এরা এখন ঘাপটি মেরে রয়েছে। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে তখনই তারা মাঠে নামবে এবং এই সন্ত্রাসী তারেক বিগ্রেডের সদস্যরা বড় ধরনের ঝটিকা হামলার পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছে।
উল্লেখ্য, যে বিএনপি বলেছে যে তারা নির্দরীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি বাস্তবায়ন ছাড়া ঘরে ফিরবে না। এবং এই দাবি আদায় না হলে তারা নির্বাচনও করবে না। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামীকাল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ৫ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন। ধারণা করা হচ্ছে নভেম্বরের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সপ্তাহে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে পারেন। তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে তারেক ব্রিগেডকে দিয়ে দেশে একটি অস্থির অরাজকতা পরিস্তিতি তৈরী করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, এ ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা কখনই বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এদেরকে প্রতিরোধ করা হবে। এ ব্যাপারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সজাগ এবং সচেতন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply