একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইসতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন সহ সংখ্যালঘুদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযোদ্ধার চেতনায় দেশ স্বাধীন হলেও, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা পায়নি।এরপর জিয়া সরকারের আমলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি।এরপর এরশাদ সরকারের আমলে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মোটামুটি % চাকরি পেয়েছিলেন এবং হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট- বৌদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টসহ মোটামুটি কিছু সুবিধা পেয়েছিলেন। এরপরে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সংখ্যালঘুরা চরমভাবে নির্যাতিত হয়েছিল। এরপরে সংখ্যালঘুদের ভরসা ও বিশ্বাস ছিল আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সংখ্যালঘুরা ভালো থাকবেন।কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সংখ্যালঘু নির্যাতন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশ্বাস হারিয়েছে আওয়ামী লীগও।অতএব সংখ্যালঘুদের এখন ভাববার বিষয়-আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এই নির্বাচনে আমরা কোন পথে যাব?বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল, বর্তমান ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ-মহান জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি এবং একটি শক্তিশালী দল বিএনপি।এই তিনটি দলের মধ্যে কোন দল আমাদের কে নিরাপত্তা দিবে এবং আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ করবে।প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষার কথা থাকে। তেমনি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে তাদের ইসতেহারেও সংখ্যালঘু সুরক্ষাসহ কথা উল্লেখ থাকলেও,তারা পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরেও তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি।অতএব সংখ্যালঘুদের কাছে বিশ্বাস হারিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি আমলেও চরমভাবে নির্যাতিত হয়েছিল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। যার কারণে বিএনপি’র উপর বিশ্বাস ও ভরসা রাখাও কঠিন বিষয়। জাতীয় পার্টিও বর্তমানে এককভাবে থাকেনা।তারা কোনো না কোনো দলের সাথে জোটবদ্ধ হন। তাহলে আমরা সংখ্যালঘুরা এখন বিপর্যায়।তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকলের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে,যে- কোনো দলের বা দলের প্রতীকচিহ্নের মোহে নয়, ভালো প্রার্থী যে দলেরই হোক, প্রগতিশীল ও ভালো মানুষকেই আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply