বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার এক বিবৃতিতে বলেছেন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা, প্রধানত মহিলা শ্রমিকেরা বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছেন। অতীতের আন্দোলনের ফলে তারা কিছু সুযোগ সুবিধাও লাভ করেছেন। গত প্রায় তিন বছরের মধ্যে দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে তাতে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার জন্য তাদের একান্তই অপ্রুতুল। এ অবস্থায় তারা তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। পোশাক শিল্পের মালিকেরা এবং সরকার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বেতন বৃদ্ধি করে আন্দোলন থামানো এবং তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া বিষয়টি বিবেচনা করে তাদের বেতন কিছুটা বাড়িয়ে তাদেরকে কাজে যোগদানের জন্য আহ্বান জানান। পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার নির্ধারণের দাবি জানিয়েছিলো এবং মজুরি নির্ধারণে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধি ২৩ হাজার টাকা মজুরির দাবি উত্থাপন করেন। সরকার শ্রমিকদের দাবি উপেক্ষা করে মালিকদের প্রস্তাব অনুযায়ী ১২৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করেছে। পোশাক শিল্পের শ্রমিকেরা যে বর্ধিত বেতনের ঘোষণা জানতে পেরে এই বেতন বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মত প্রকাশ করেছেন এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের সংঘাত হয় তাতে একজন মহিলা শ্রমিক আঞ্জুয়ারা খাতুন নিহত হয়। পুলিশ যেভাবে আন্দোলন দমণের জন্য মারমুখো ভূমিকা পালন করছে তা সমাধানযোগ্য নয়। যে অবস্থা তৈরি আছে তা অবসান ঘটানোর জন্য মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টির দায়িত্ব সরকার পালন করতে পারে। সরকারকে বুঝতে হবে কেবল পুলিশ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা মনে করি শ্রমিকদের দাবি বহুলাংশে সুসংগত ও ন্যায়সঙ্গত। মালিকপক্ষ ও সরকারের প্রতি আহ্বান, যতদ্রুত সম্ভব আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এবং শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে সমস্যার সমাধান করুন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply