আয়োজক: বিআইবিএইচবি (ক্যালিফোর্নিয়া, ইউএসএ) ও সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইনষ্টিটিউট (বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জ) স্থান: মাওলানা আকরাম হল, জাতীয় প্রেসক্লাব ৩য় তলা। তারিখ: ১১ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত
সেমিনারে উপস্থিত আছেন ড. রাস বিহারী বিহারী ঘোষ এবং তার অ্যামেরিকান রাজনৈতিক উপদেষ্টা থমাস হডসসন। এই সেমিনারে যোগদানকারী সমমনা ব্যক্তিদের সাথে তিনি অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা ভাগ করে নিতে চান এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে চান বিশেষ করে সাংবাদিকদের কাছ থেকে যারা নদী দূষণের পরিবেশগত অবিচার এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে গভীর আগ্রহ পোষণ করেন, সেমিনারে দুটি অংশ থাকবে প্রথম অংশে বুড়িগঙ্গা দূষণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, দূষণকারীদের চিহ্নিত করা এবং তাদের নিজস্ব সুবিধার স্বেচ্ছায় পরিষ্কার করার সুযোগ দেওয়া। সর্বপরি কিভাবে এই স্থূল দূষণ রোধ এবং পরিবেশগত অবিচার প্রশমিত করা যেতে পারে। দ্বিতীয় অংশে থাকবে হাইড্রোগ্রামীণ প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিভিন্নভাবে যারা অবদান রাখছে সে বিষয়ে আলোচনা করা।
ডাঃ ঘোষ একজন বার্কলে বিজ্ঞানী, হাইড্রোগ্রামীণের উদ্ভাবক, নাগরিক অধিকার কর্মী। পরিবেশ, জল, গ্লোবাল ওয়ার্মিং ভূপৃষ্ঠ এবং ভূগর্ভস্থ জল প্রশমন এবং নদী ও মোহনা দূষণের ক্ষেত্রে ৪৫ বছরেরও বেশি তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ইউরোপের সবচেয়ে দূষিত নদী রিভারমার্জি এবং স্যানফ্র্যান্সিক্সোতে পানিদূষণ মুক্ত করার ব্যাপারে বিষদভাবে কাজ করেছেন। জগন্নথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীন ১৬ বছর বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে লাল কুটির কাছে তিনি অবস্থান করেছিলেন। বলা যায়, এ অবস্থান বুড়িগঙ্গা নদীকে চিনতে-যানতে তাকে সহায়তা করেছে। এছাড়া গত দুবছর কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে নদী ভাঙ্গন এবং হাইড্রোগ্রামীণ বাস্তবায়ন ১০টি বিশুদ্ধ পানি ভূগর্ভে পানি প্রবেশের ব্যবস্থা করেছেন।
বাংলাদেশ একটি বৃহৎ নদীমাতৃক দেশ। আর.সি. মজুমদারের মতে, সুদূর অতীতে, সম্ভবত গঙ্গা নদীর একটি গতিপথ ধলেশ্বরী নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাত। ঢাকার অদূরে সাভারের দক্ষিণে ধলেশ্বরী থেকে বুড়িগঙ্গার উৎপত্তি হয়েছিল। বিংশ শতাব্দীতে নদীর তীরের কাছে ভেঙে পড়া ভবন থেকে পলিথিন এবং অন্যান্য বিপজ্জনক পদার্থ দ্বারা জলের টেবিল এবং নদী দূষিত হয়ে পড়ে। দূষিত বুড়িগঙ্গার অবস্থা এবং সারাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর দূষণের প্রভাব মূল্যায়নের জন্য এই সেমিনারে। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে কিভাবে বাংলাদেশের মানুষ ৬ দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিবেশগত অবিচারের শিকার হয়েছে। ১৬১০ সালে মুঘলরা যখন ঢাকাকে তাদের রাজধানী করে, তখন বুড়িগঙ্গার তীর ছিল বাণিজ্যের প্রধান স্থান। তাই ঢাকার জন্য বুড়িগঙ্গা অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নদীটি শহরের পানীয় জলের প্রধান উৎসও বটে। আজ বুড়িগঙ্গা নদী দূষণে বিপর্যস্ত। কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, পয়োনিষ্কাশন, মৃত প্রাণী, প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গার দূষণকারী। ঢাকা শহর প্রতিদিন প্রায় ৪,৫০০ টন কঠিন বর্জ্য নিঃসরণ করে এবং এর বেশিরভাগই বুড়িগঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা রাজধানী শহর ও এর আশেপাশে নয়টি শিল্প এলাকাকে নদী দূষণের প্রাথমিক উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন: টঙ্গী, তেজগাঁও, হাজারীবাগ, তারাবো, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুর, ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং ঘোড়াশাল। এই এলাকার বেশিরভাগ শিল্প ইউনিটের নিজস্ব কোনো পয়ঃনিষ্কাশন শোধনাগার বা বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) নেই।
দ্বিতীয় অংশ: হাইড্রোগ্রামীণ প্রযুক্তি ক্ষয়প্রাপ্ত জলাশয়গুলিকে পূরণ করে যা এখানে বেশি প্রযোজ্য কারণ বুড়িগঙ্গা পানীয় জলের উৎস। ঐুফৎড়মৎধসববহ’ং-এর সুবিধা আমাদের সময়ের যেকোনো উদ্ভাবনী প্রযুক্তির চেয়ে অনেক বেশি। এটি গ্রহ এবং তার বাইরের প্রতিটি প্রজাতির জীবন বাঁচাতে পারে। এর অবদানের মধ্যে রয়েছে ইকো মাইক্রো ইকোনমি যা ক্ষুদ্রঋণের সাথে প্রাসঙ্গিক এবং এর আধুনিক প্রতিষ্ঠাতা হলেন ব্যাংকার ড. মুহাম্মদ ইউনুস। সজিব ওয়াজেদ একজন আমেরিকান পণ্ডিত এবং বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ যিনি সংখ্যালঘু অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সংখ্যালঘুদের পক্ষে তার অবস্থান সম্পর্কে তার সাম্প্রতিক নিবন্ধটি সেমিনারে উপস্থাপন করা হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply