আনোয়ার হোসেন। নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টিসিবি নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে কম মূল্যে বিক্রির জন্য বেনাপোল স্হল বন্দর দিয়ে ২৮ টি ট্রাকে ভারত থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন মুসুরের ডাল আমদানি করেছে।
গত রোববার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে মুসুরের ডালবাহী ট্রাক বেনাপোল স্হলবন্দরে প্রবেশ করেছে। ফ্যামেলী কার্ডধারীরা বাজার মূল্যের অর্ধেকের কম দামে কিনতে পারবে এই ডাল। প্রতি কেজি ডালের আমদানি খরচ ১৩০ টাকা পড়লেও সরকার ৭০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে মাত্র ৬০ টাকায় বিক্রি করবে। কম দামে টিসিবির পণ্য পাওয়ার খবরে অনেকটা স্বস্তির কথা জানিয়েছেন ফ্যামেলী কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষ। দ্রুত যাতে ডালের চালান বন্দর থেকে ছাড় হয় এজন্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে কাস্টমস ও স্হলবন্দর কর্তৃপক্ষ।বাণিজ্যিক সংশিষ্ট সূত্রে জানায়, দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে ২০২২ সালের ১ আগস্ট থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও এ কার্যক্রম এখনও চালু রয়েছে। কার্ডধারী প্রত্যেক পরিবার ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, ৭০ টাকা দরে এক কেজি চিনি,৩৫ টাকা দরে ২ কেজি পেঁয়াজ, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি চাল কিনতে পারবে।
মুসুরের ডালের যোগান দিতে সরকার এবার ৫ হাজার মেট্রিক টন ডাল ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে বেনাপোল স্হলবন্দর দিয়ে গত রবিবার ২৮ টি ভারতীয় ট্রাকে এক হাজার মেট্রিক টন ডাল আমদানি হয়। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মসুরের ডাল ১৪০ টাকা, চিনি ১৬০ টাকা, সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৫০ টাকা ও পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের এ উর্ধ্বগতির বাজারে অর্ধেকর কম মূল্যে টিসিবির কাছ থেকে কেনার সুযোগে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
টিসিবির ডাল সরবরাহকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আজিজুর রহমান বলেন, এবার ৫ হাজার মেট্রিক টন ডাল আসবে। বেনাপোল স্হলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত টিসিবির ডাল ছাড় করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন টিসিবির গোডাউনে। এরআগে বেনাপোল স্হলবন্দর দিয়ে টিসিবির ৮ হাজার মেট্রিক টন মুসুরের ডাল ও ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ডাল আমদানি হয়েছে বলেও জানান ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply