নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আমাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণ ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছথেকে জানাযায়, অবৈধ অর্থ ও সম্পদ উপার্জনের মাধ্যমে ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র, বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু দীর্ঘদিন যাবৎ নিজের আধিপত্য ধরে রাখতে তৈরি করেছেন একটি সশস্ত্র শক্তিশালী সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক। তাদের মাধ্যমে ঈশ্বরদীর হেনো কোন অপরাধ নেই এই মিন্টুর মাধ্যমে সংঘঠিত না হয়ে থাকে। মিন্টু তার নিজস্ব ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ঈশ্বরদীর অনেক সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সংঘাত সংঘর্ষে জড়িয়েছেন।
জানা যায়, বর্তমানে মেয়রের বাড়ীতে ১৫ আগষ্টে গোলাগুলি করে জাতীয় পতাকা ছিঁড়েছিল। ভেঙে ফেলেছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি। বিষয়টি ঈশ্বরদী শহরের সবারই মনে আছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতির সঙ্গে আলাপ করে বিষয়টা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ঈশ্বরদীর পৌর এলাকায় মার্কেটের গেটের পাশে জনৈক কৈলাশ বাবুকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে সামান্য টাকার বিনিময়ে শশুরের নামে জমি লিখিয়ে নিয়ে রাতের আঁধারে স্ব-পরিবারে ভারতে যেতে বাধ্য করেছিল মিন্টু।
আর.আর.পির মালিক আলম পৌর জামায়াতের সভাপতি। এই আলম এর ভাই মনি। মনির সাথে মিন্টুর সকল ব্যাবসা বাণিজ্যের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানা যায়। যার কারণে জামায়াত শিবিরের সাথে তার সখ্যতা নতুন কিছু নয়।
মিন্টুর চাচাতো ভাই ছলিমপুর ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি। অতীত এবং বর্তমানে শেখেরদাড়ী এবং কোলের কান্দি রোডে যেসকল গাড়ী ভাংচুর অগ্নিসংযোগ হয়েছে সব তারই নেতৃত্বে। মিন্টুর আত্মীয় হওয়ার কারণে ভয়ে কেউ মুখ খুলেছেন না। সন্ত্রাসের গডফাদার জুবায়ের বিশ্বাস মিন্টুর দক্ষিণ হস্ত হিসেবে আতঙ্ক। এহেন কোন অপরাধ নেই যা এই জুবায়ের বিশ্বাস মিন্টুর জন্য করে না। নিজের স্ত্রীকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি করেছিল এই খুনি জুবায়ের। অথচ আজও উদ্ধার করতে পারিনি সেই অস্ত্র। স্বাক্ষী দেওয়ার ভয়ে মামলা করতে চায়নি কেউ।
জানাযায়, আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর নামে বেনামে অবৈধ জমির পরিমাণ প্রায় দুইশো বিঘা। মিন্টুর ম্যানেজার আরিফের শশুর বাড়ীর এলাকায় পোস্ট অফিস মোড়ে জনৈক আকবর বিশ্বাসের অনেক জমি মিন্টুর প্রভাবে দখল করে রেখেছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল ছালাম ( চড়ি ছালাম) মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শত্রু, তার বংশের অনেকেই রাজাকার ছিল। পাবনা টাউন হলে রাজাকারের তালিকায় চড়ি ছালামের বাপ দাদার নাম রয়েছে। হঠাৎ করে তারা মিন্টুর ছত্রছায়ায় এসে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম নূরল ফকিরের জায়গা জমি জোর করে দখল করে বিক্রি করে রাতারাতি বদলে যায় নিজের রাজনৈতিক জীবন। হয়ে উঠে ঈশ্বরদী থানার দালাল। সাবেক ওসি ইলিয়াস ফকির ছিলেন চড়ি ছালামের ঘনিষ্ঠ। তার হুকুমের বাহিরে একটি জিডি করার দুঃসাধ্য কারো হয়নি। এমন ঘটনা ঈশ্বরদীবাসীর লোকমুখে জানাযায়। সেই কুখ্যাত চড়ি ছালাম এখন ঈশ্বরদী শহরে ছয়টি বাড়ীর মালিক।
এসকল কুখ্যাত অপরাধী ও সন্তানদের সাথে রয়েছে ঈশ্বরদীর মুর্তমান আতংক সাবেক মেয়র ও বর্তমান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর ব্যাপক সখ্যতা। স্থানীয় জনসাধারণ ও আওয়ামীলীগ নেতাদের দাবি, অনতি বিলম্বে ঈশ্বরদীর অপরাধ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা কুখ্যাত সন্ত্রাসী অপরাধের ডন মিন্টুর অপসারণ করে ঐতিহাসিক ঈশ্বরদীবাসীকে একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সৃষ্টিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামনা করেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply