ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকায় মশার কয়েল থেকে ছড়ানো আগুনে ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ দুই শিশু জাফরা (৭) ও আট মাস বয়সী মায়ানের চার পা হাঁটু থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। শিশুর বাবা রবিন মিয়া তার দুই সন্তানের পা কাটার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভালুকা খাদ্য গুদামের নিরাপত্তা প্রহরী গফরগাঁও উপজেলার মশাখালি গ্রামের রবিন মিয়া স্ত্রী মনি আক্তার (৩০), মেয়ে জাফরা (৭) ও আট মাস বয়সী ছেলে মায়ানকে নিয়ে ভালুকা পৌর সভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল ফজল সাত্তারের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করেন। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতেও কক্ষে কয়েল জ্বালিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন মনি আক্তার। ওই সময় রবিন মিয়া বাসায় ছিলেন না। এদিকে, গতকাল রোববার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে রবিনের ভাড়া বাসা থেকে চিৎকারের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে একটি কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখে এবং ওই সময় তারা দরজা ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা ও অগ্নিদগ্ধ দুই শিশুসহ মনি আক্তারকে উদ্ধার করে। পরে, ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দগ্ধদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং কক্ষের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ততক্ষনে আগুনে ঘরের সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে, দগ্ধদের অবস্থা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউট ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে রেফার্ড পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউট ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে দুই শিশুর বাবা রবিন মিয়া জানান, আগুনে তার দুই সন্তানের পায়ের হাড় মাংস পুড়ে যাওয়া তাদের ৪টি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। তার স্ত্রী মনি আক্তারের অবস্থাও ভালো না। তারও একটি পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তারা বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ণ ইন্সটিটিউট ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply