নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভৌগলিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপুর্ণ পাবনার ঈশ্বরদী। এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটি পাবনা-৪ সংসদিয় আসনে অবস্থিত। এই সংসদিয় আসনটি ধারাবাহিক ভাবে দির্ঘ ১৫ বছর যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। এখানে গত পনের বছর যারা নৌকার প্রতিক নিয়ে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটিতে উন্নয়ন ও জনগণের সেবা দানে ব্যর্থ হয়েছেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোর বিভিন্ন সংসদিয় আসনে যে পরিমাণ উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তেমনটি পাবনা-৪ আসনে পরিলক্ষিত হয়নি।
আমাদের প্রতিনিধি উক্ত এলাকার সাধারণ জনগণের সাথে কথা বলে এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তাদের মতামত থেকে যানা যায়, এখানে আওয়ামী লীগ যাদের হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দিয়েছে তারা কেউ দক্ষ মাঝি ছিলেন না! গত ১৫ বছর যাবৎ এই আসন থেকে যারাই নির্বাচিত হয়ে সংসদে গিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এলাকা ও জনগণের উন্নয়নে না গিয়ে নিজেদের ও পরিবার পরিজনদের উন্নয়নে সর্বাধিক মনোযোগী ছিলেন।
এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শামসুর রহমান শরীফ ডিলু। তিনি এমপি থাকাকালীন ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ায় কোন উন্নয়ন হয়নি। এখানে যেটুকু উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে তাহা শুধুমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ ইচ্ছায় হয়েছে। এমপি ডিলু মারা যাওয়ার পরে আসনটিতে সাংসদ হয়েছেন নুরুজ্জামান বিশ্বাস। তিনি আরো অথর্ব। সে নিজেই চলতে পারেনা। মানুষের কাছে ধার-দেনা করে নিজের ও পরিবারের চিকিৎসার অর্থ জোগার করেন। এমন অথর্ব লোককে এমপি প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। তার দ্বারা ঈশ্বরদী-আটঘড়িয়ায় কোন উন্নত হয়নি। বরং চোড়াচালানীদের সাথে তার ছেলে যুক্ত ছিল এবং রয়েছে বলে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছথেকে জানা যায়।
এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে খুব আশায় বুক বেঁধেছিল পাবনা-৪ আসন, ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া এলাকার জনগণ। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন বিবর্জিত পাবনা-৪ আসনের জনগণের এবারও কপাল পুরলো বলে মন্তব্য করেন এই আসনটির সাধারণ জনগণ। আসনটির বেশীরভাগ জনগণ আক্ষেপ করে বলেন, একজন রাজনৈতিক অনভিজ্ঞ, যার এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকাটিতে নুন্যতম কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না! সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু এমপির পুত্র গালিবুর রহমান শরীফ। যাকে একজন প্রবাসী ধনী ব্যক্তি হিসেবে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার জনগণ চিনে ও জানে। তার পিতা পাবনা-৪ আসনে দির্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া বাসির উন্নয়নে ব্যাপক ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। যিনি ঈশ্বরদী-আটঘরিয়াবাসির উন্নয়ন না করে নিজের ও পরিবারের উন্নয়ন করেছেন। বিদেশের মাটিতে জমিয়েছিলেন অঢেল অর্থ সম্পদ, এখন আবার তারই ছেলেকে নমিনেশন দিয়ে পিতার কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সুযোগ করে দিয়েছে। এ যেনো পুরোনো বোতলেই নতুন মদের দৃষ্টান্ত। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আরো জানা যায়, কোটিপতি এই অল্প বয়সের এমপি প্রার্থীর কাছে কিছু সুবিধা ভোগী লোকজন ঘুরে বেরাচ্ছে। তারা আদতে কেউ নৌকা মার্কায় ভোট দিবে না। তারা গালিব শরিফের টাক খেয়ে ভোট দিবে অন্য মার্কায়। ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার সাধারণ জনগণ মনে করছেন, যদি নির্বাচনে ভোট সুষ্ঠু নিরোপেক্ষ হয় তা হলে নৌকার ভরাডুবি নিশ্চিত।
এর কারণ হিসেবে ঐ আসনের জনগণের কাছথেকে জানা যায়, সাবেক পৌর মেয়র মিন্টু আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছে এমপি প্রার্থী পাঞ্জাব বিশ্বাসকে। একই ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঈশ্বরদী বণিক সমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু। সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আরিফ, যুবায়ের, বর্তমান এমপি, বর্তমান মেয়র, আটঘরিয়ার রতন, তার পুত্র তানভিরসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। যেনো কোন ভাবেই গালিব শরীফ জিততে না পারে এই স্বড়যন্ত্রের বিরাট জাল নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। ঈশ্বরদী আটঘরিয়ার রাজনীতির ময়দানে খেলে জিতে আসার মতো রাজনৈতিক দূরদর্শিতা গালিব শরীফ এর নেই বলে মন্তব্য করেন স্থানীয় জনসাধারণ। তাদের মতামত তার আসে পাশে যারা রয়েছে তারা কেউ তার লোক নয়, আর একারণেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে নৌকার ভরাডুবি হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply