ভালুকা প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি দাখিল মাদ্রাসায় একজন আয়া, একজন অফিস সহায়ক ও একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে মোট তিনজনকে নিয়োগের জন্য পছন্দের প্রার্থীদের ডেকে গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ফখরুল হাসান উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসীর পক্ষে ফখরুল হাসান উল্লেখ করেন, উপজেলার বহুলী দাখিল মাদ্রাসায় উল্লেখিত পদের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান মো: আবুল কালাম তার পছন্দ মতো প্রার্থীদের ডেকে এনে গত ০৫ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল ১০টার সময় নাম মাত্র নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করেন। যেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন না। এ ঘটনায় ফজলে রাব্বি নামের এক প্রার্থীকে প্রবেশ পত্র না দিলে সে এলাকাবাসীকে বিষয়টি অবগত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নিয়োগ পরিক্ষার ডি.জি প্রতিনিধি ও সুপার/সদস্য সচিব মোঃ আবুল কালাম অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে আবু সায়েম, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে তার অনুগত শিক্ষক নাজমুলের ছোট ভাই মোঃ ফরহাদ মিয়া এবং আয়া পদে ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে তার বিশ্বস্ত অনুগত দপ্তরী শাহ আলমের পুত্রবধু মুন্নী কে চাকুরী দেওয়ার চুক্তি করে নিয়োগ পরিক্ষার আয়োজন করেন। এছাড়াও নাজমুল নামের এক প্রার্থীর নিকট থেকে নিরাপত্তাকর্মী পদে প্রতিষ্ঠান প্রধান টাকা নিয়েছেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। উল্লেখ্য গত ০৪ জানুয়ারী ঐ প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি ফখরুল হাসান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ঝিল্লুর রহমান জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই মাদ্রাসার নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিতের জন্য নির্দেশ দিয়েছি। শুক্রবার পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না।
মাদ্রাসার সুপার মো: আবুল কালামকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদুল আহমেদ জানান, বহুলী দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ পরিক্ষার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply