কুমিল্লার চান্দিনা থেকে, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় রাসেল খান নামে এক প্রতারকের প্রতারণার খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বরকইট মধ্যমতলা নিবাসী হাছন আলী ও মোর্শেদা বেগম এর পুত্র রাসেল খান মাদক সেবন সহ মাদক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত একজন বখে যাওয়া খারাপ প্রকৃতির লোক। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে বসবাস করে আসছে। সৌদি আরবে প্রবাসী অবস্থায় থেকেই তাহার নিজের এলাকা কুমিল্লার চান্দিনা বরকইট মধ্যমতলা এলাকায় নিয়মিত মাদক বাণিজ্যের সিন্ডিকেট ও খারাপ প্রকৃতির নারী দিয়ে দেহব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এই রাসেল খান।
গোপন সূত্র থেকে জানা যায় রাসেল খান স্থানীয় থানার দুএকজন অসাধু পুলিশের দারোগাদের যোগসাজশে তাহার এই অবৈধ বানিজ্য পরিচালনা করেথাকে।
স্থানীয় লোকজনের কাছথেকে আরো জানা যায় যে, রাসেল খান বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সে প্রবাসে থেকেই বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় জড়িত রয়েছে। তার নির্দেশে তাহার সাঙ্গপাঙ্গরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। এ বিষয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের তৈয়ব আলী ও মোসাঃ আমেনা আক্তারের কন্যা ফাহিমা আক্তার তার খালাতো ভাই হামিদের পুত্র জসিমকে প্রেমের জালে আটকিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অতঃপর জসিম প্রবাসে চলে গেলে ফাহিমা আক্তার একাধিক উঠতি বয়সের যুবকদের সাথে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। জানা যায় ফাহিমা আক্তার তার স্বামী জসিমের একাধিক বাচ্চা নষ্টও করে ফেলে। জসিম প্রবাসে থাকা অবস্থায় চরিত্রহীন নারী ফাহিমা আক্তার ২০১৯ সাল থেকে মাদক সেবী প্রতারক রাসেল খানের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যায়। অতঃপর তাহারা নিয়মিত দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে থাকে। পরবর্তীতে রাসেল খান সৌদি আরবে চলে যাওয়ার পর ২০২২ সালে ফাহিমা আক্তারকে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। রাসেল খান ও ফাহিমা আক্তার সৌদি আরবে একত্র হয়ে যৌন ব্যবসা ও অনলাইনে ইমো সেক্স বাণিজ্য পরিচালনা করে। পরবর্তীতে ফাহিমা আক্তার প্রায় ছয় মাস সৌদি আরবে থেকে গর্ভবতী হয়ে দেশে ফিরে আসে। দেশে এসে ফাহিমা আক্তার তার গর্ভের সন্তান রাসেল খানের বলে আত্মিয় সজন ও পাড়াপরশীদের জানান। অতঃপর ফাহিমা আক্তার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়। স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায় ফাহিমা আক্তারের আরো কয়েকজন বোনেরাও চরিত্রহীন খারাপ প্রকৃতির নারী। দেহ ব্যবসার মাধ্যমেই তাহারা জীবিকা নির্বাহ করে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়।
এছাড়াও বিশেষ সূত্র থেকে জানা যায়, রাসেল খান সৌদি আরবে মাদক সেবন ও দাঙ্গা হাঙ্গামার কারণে সপ্তাহ খানেক জেল খেটেছে।
এছাড়াও স্থানীয়দের কাছ থেকে আরো জানা যায়, রাসেল খানের বড়বোন তাসলিমা একজন চরিত্রহীন খারাপ প্রকৃতির নারী। সে স্থানীয় উঠতি বয়সের ছেলেদের সাথে দেহব্যবসা করে থাকে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন। রাসেল খানের মা বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা ধার নিয়ে পরবর্তীতে তার চরিত্রহীন মেয়ে তাসলিমাকে দিয়ে যৌন কর্মের লোভে ফেলে হেনস্থা করে লোকজনের টাকা-পয়সা মেরে দেয়। তিনি আরো বলেন রাসেল খানের মা একজন খারাপ প্রকৃতির নারী। তিনি বর্তমানে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ হয়ে আছে। এছাড়াও তিনি তার ছেলেদের বিবাহ করিয়ে শশুর বাড়ী থেকে মোটা অংকের যৌতুক আনার জন্য ছেলেদের বৌদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। এছাড়াও ঋণের টাকা থেকে মুক্তির জন্য মেয়েদের দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রবাসী ছেলেদের ফাঁসানোর চেষ্টা করে থাকে।
উল্লেখিত প্রতারক, মাদক ও নারী ব্যাবসায়ী রাসেল খানেকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply