নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বালিগাও ইউনিয়নের মৃত প্রবাসী মামুন দেওয়ানের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় মৃত প্রবাসী মামুন দেওয়ানের স্ত্রী জেসমিন বেগম,ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পদ্মাকর ইউনিয়নের হাটগোপালপুরে পরকীয়া প্রেমিককে সাথে নিয়ে মৃত স্বামী সম্পত্তি আত্মসাতের পায়তারা করছে স্ত্রী এমন ই অভিযোগ করেছে মৃত প্রবাসী মামুন দেওয়ানের পারিবার।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে, প্রবাসী স্বামীর মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকেই প্লান করে স্বামীর সকল সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করছে ওই নারী। এমনটিই অভিযোগ করেছেন মৃত প্রবাসীর স্বজনরা। জমি যেন বিক্রি করতে না পারে সে জন্য তার ছেলে আদালতের দ্বারস্থ পরযন্ত হয়েছে বলেজানা যায়, মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ী উপজেলার গোয়ারা গ্রামের মুনছুর দেওয়ানের ছেলে মামুন দেওয়ান দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লৌহজং গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিদেশে থেকে লৌহজং গ্রামে নিজের বাড়ি করেছেন, সম্পত্তি গড়েছেন সেখানে। তিনি সৌদি আরব থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আব্দুস সাত্তার খালাসির মেয়ে জেসমিন বেগম হাসান নামের এক বাসের সুপারভাইজারের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে জানায় মৃত মামুনের পরিবার স্বামী বিদেশে থাকার কারণে হাসানের সাথে দীর্ঘদিন তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে। সর্বশেষ সৌদি প্রবাসী মামুন ২০২২ সালে দেশে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন এ সময় মামুন কে চিকিৎসা না করিয়ে কিছুদিন বাড়িতেই রেখে দেন জেসমিন বেগমপরে মামুনের পরিবারের লোকজনের চাপে তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২২ সালের ২৫ ডিসেম্বর মামুন মারা যায়। এরপর থেকে স্ত্রী জেসমিন বেগম স্বামীর সকল সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে উঠে পড়ে লাগে বলে জানায় মৃত প্রবাসী মামুন দেওয়ানের পারিবার।
জেসমিন বেগম পরকীয়া প্রেমিক হাসানের সাথে নিয়ে মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যেই স্বামীর সকল সম্পত্তি মিথ্যা তথ্য নিয়ে নামজারী করে নেয়। পরে সেই সম্পত্তি বিক্রির পায়তারা করছে জেসমিন বেগম এমনটি জানতে পেরে মামুনের স্বজনরা আদালতে মামলা করেন। এমনকি সম্পত্তি যেন বিক্রি করতে না পারে সেজন্য মামুনের ছেলে সিয়াম আদালতের দারস্থ হয়েছেন এবং জমি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন।
মৃত প্রবাসীর ভাই স্বপন দেওয়ান বলেন, আমার ভাই বিদেশে থাকা অবস্থায় আমার ভাবী পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে হাসান নামের একটি ছেলের সাথে। তিনি নোয়াখালির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা চর পার্বতী এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। সে সোহাগ পরিবহন বাসের সুপারভাইজার। ওই হাসানের সাথে পরিকল্পনা করে আমার ভাইয়ের সন্তানদের ফাঁকি দিয়ে সব সম্পত্তি বিক্রি করতে চাচ্ছে আমার ভাবি এই পরিকল্পনা অনেক আগের আমার ভাই বেচে থাকা অবস্থায় আমার ভাবী পাসপোর্ট করে যেখানে হাসানকে স্বামী বলে পরিচয় দেয় সেখানে সে এমন কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক আমরা প্রতারক জেসমিনের বিচার দাবী করছি। সেই সাথে সম্পত্তি যেন বিক্রি করতে না পারে সে ব্যাপারে ভূমি সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেসমিন বেগম বলেন, পাসপোর্টে ভুল করে আমার স্বামীর স্থানে হাসানের নাম হয়েছে এছাড়াও যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সবই মিথ্যা।
এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন মৃত প্রবাসী মামুন দেওয়ানের পারিবার বর্তমানে মামলাটি সি আই ডির তত্ত্বাবধানে রয়েছে এ মামলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্ম কর্তা সোহেল জানান তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply