আনোয়ার হোসেন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : আর মাত্র দুই দিন পর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হবে। ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারীর টানে ঘরে ফিরছে মানুষ। তবে এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দিয়ে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তি নিয়ে ফিরছে। গাড়ীর চাপ বাড়লে ও চিরচেনা সেই যানজট নেই। যানজট মুক্ত রাখতে মহাসড়কে দায়িত্বরত পুলিশ অনেক তৎপর।
সোমবার(৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায় অন্য সময়ের চেয়ে যানবাহন কিছুটা বেড়েছে তবে যানজট ও ভুগান্তি ছাড়াই ঘরে ফিরছে মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে ময়মনসিংহ অংশে ৫টি জেলার মানুষ যাতায়ত করে থাকেন। প্রতি বছর ঈদযাত্রায় সড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপ থাকে। ঈদ যাত্রায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়ে কয়েকগুণ। তাই সড়কে যানজট প্রবণ এলাকাগুলোতে বাড়ে ভোগান্তি। ঢাকা থেকে গাজীপুর পার হয়ে ময়মনসিংহ অংশে প্রবেশের পর স্কয়ার মাস্টারবাড়ী,ভালুকা উপজেলার সীডস্টোর বাজার, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, ভরাডোবা, ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড ও ময়মনসিংহ বাইপাস এলাকা যানজট থাকে । এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাগামারা, চেলেরঘাট, বৈলর, চুরখাই বাজার এলাকাতেও যানজট তৈরী হয়। আর বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হতে সময় বেশী লাগায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে উল্টো মহাসড়ক যানজট নেই তবে গতকালের চেয়ে ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
শেরপুর গামী বাস চালক আতিকুল ইসলাম বলেন ঢাকা -ময়মনসিংহ মহাসড়কে কোন যানজট নেই এতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে না নির্দিষ্ট সময়েই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারছি।
বাস যাত্রী কুলসুম বলেন ছুটির দিনেও কোন জ্যাম নেই এবার স্বস্তিতে ঘরে ফিরতে পারবো আশা করছি।
তবে যাত্রীদের কিছু অভিযোগ বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে তাদের কাছ থেকে।
ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন নিরবিচ্ছিন্ন ঈদ যাত্রায় আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে এবং যানযটের শংকা আছে এসব জায়গায় আমাদের বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত আছে এবং গাড়ী চাপ বাড়লেও আশা করছি এবার ঢাকা – ময়মনসিংহ মহাসড়ক যানজট মুক্ত থাকবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply