এইচ এম আতিক ইকবাল, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
“বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার সেই চিরচেনা তাল গাছ, মেঠো পথের দু’ধারে নেই খেঁজুর গাছের সারি, আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাপনায় আমরা ব্যস্ত তবুও বাংলার ঐতিহ্য টিকে থাকুক, প্রাকৃতিকভাবে বজ্রপাত থেকে নিস্তার পাক পৌরবাসী, মেয়রের ভাবনা হয়তো এমনই ছিলো, বৃক্ষ রোপনের সূচনালগ্নে প্রশংসায় ভাঁসছে মেয়র”
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডে নড়িয়া পৌর মেয়র এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ ২৭ জুন ২০২৪ইং বৃহস্পতিবার সকালে নড়িয়া পৌরশহরের বিভিন্ন সড়কের পাশে ২০০টি নারকেল গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষ রোপন কার্যক্রম শুরু করেছেন। নড়িয়া পৌরসভার পক্ষ থেকে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উদ্বোধনী দিনে বৃক্ষরোপণ শেষে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে অবলোকন করলাম আমার নড়িয়া পৌর শহরে তালগাছ ও খেঁজুর গাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে, আমার প্রবল ইচ্ছা ছিলো আমি তালগাছ, নারকেল গাছ ও খেঁজুর গাছের চারা রোপন করবো, তারই ফলশ্রুতিতে আজ নড়িয়া পৌরসভার উদ্যোগে আজ উদ্বোধনী দিনে ১০০ টি নারিকেল গাছ রোপন করলাম। নড়িয়া পৌরসভার নির্মাণাধীন রাস্তা সহ সকল রাস্তার দুই পাশে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ৫০০টি তালগাছ, ৩০০ টি নারিকেল গাছ এবং ২০০ টি খেজুর গাছ লাগানো হবে। তাল গাছ একদিকে যেমন প্রকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে অপর দিকে বজ্রপাত নিরোধের ক্ষেত্রে অবদান রাখে। একটি বড় আকারের বটগাছ তার আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার জায়গা বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করে। এবং তালের শাসে থাকে প্রচুর মিনারেল এবং আয়রন। একসময় আমাদের এলাকা খেজুরের রস ও খেজুরের গুরের জন্য বিখ্যাত ছিল। এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। সে কারনেই মুলত খেজুর গাছ লাগানো।
মেয়রের এহেন দুরদর্শী পরিবেশ বান্ধব সু-পরিকল্পনায় নড়িয়া পৌর শহরের সচেতন মহল তাকে সাধূবাদ জানিয়েছে। বিলুপ্তপ্রায় বজ্রনিরোধক তাল গাছ, বিরুপ্ত প্রায় গ্রামবাংলার চিরচেনা খেঁজুর গাছের পাশাপাশি সড়কের ধারে নারকেল গাছের চারা রোপন একটি ভীন্নমাত্রার সচেতন চেতনা বহন করেছে এবং এটা সময়ের দাবী ছিলো বলে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয় সর্বস্থরের জনসাধারন।
পরিবেশ বান্ধব এমন উদ্যোগের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের পর জেলার সচেতন মহলেও প্রশংসিতো হয়েছে মেয়র।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply