আনোয়ার হোসেন,নিজিস্ব প্রতিনিধি : বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চাকরির সুবাধে টিবয় হতে রাজস্বফাঁকি কাজের বস বনে রাতারাতি কোটিপতি হওয়া এনজিও হারুনের ঘুস বানিজ্যের সংবাদ সংস্থা দুসস সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশের পর অপরাধ ঢাকতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে। নিজের ঘুস বানিজ্য ও সুদ ব্যবসা পরিচালনার মত অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীর অফিসে ধর্ণা দিতে দেখা গেছে। এমনকি অবৈধ্য কালো টাকা দিয়ে কাস্টমসকর্তাদের ম্যানেজ করেই তার কর্মক্ষেত্রে রয়েছে বহাল তবিয়তে। নিজের অপকর্ম লুকাতে নতুন কৌশল এটে কাউকেই মোবাইল ফোন নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রুমে ঢুকতে দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় হারুনের মোবাইল নাম্বারে(০১৭৮১১৬১৯১৮)একাধিক বার কল দিলেও তিনি কল না ধরায় বক্তব্য জানা যাইনী। সত্যতা যাচায়ে বৃহষ্পতিবার (১৮ জুলাই২৪)সরেজমিনে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুলের অফিস কক্ষে (২নংগ্রæপে) গেলে বহিরাগত হারুনের উপস্থিতিসহ কম্পিটারে কাজ করতে দেখা যায়। ভূক্তভোগী সি এন্ড এফ এজেন্ট প্রতিনিধি আলীর দাবী কাস্টমস হাউসে লাগানো সিসি টিভির ধারাবাহিক ফুটেজ ও কর্মকর্তাদের কল লিস্ট চেক করলে বহিরাগত এনজিও হারুন কর্তৃক আমদানীকারক প্রতিনিধিদের হয়রানীর তথ্য চিত্র পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে কল রিসিভি করে কথা না বলেই সংযোগ কেটে দেওয়ায় বক্তব্য জানা যাইনী। প্রশোধিকার সংরক্ষিত সরকারী দপ্তরে বহিরাগতদের (এনজিওকর্মি) অবাধ প্রবেশে বৈধ্যতা কি?প্রশ্নে মুঠোফোনে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী বলেন কাস্টমস হাউসে এনজিও কর্মীদের প্রবেশের তেমন কোন বৈধ্যতা নেই। বিষিয়টি তিনি উর্দ্ধতনদের জানাবেন ও সাথে সাথে সকল অভিযুক্তদেরও সতর্ক করা হবে। সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জথানাধীন মৌতলা গ্রামের মোঃ মুনছুর মোল্লার ছেলে সামান্য বেতনে টিবয় এর কাজ করে কিভাবে অর্ধশত কোটি টাকার সম্পত্তি সহ, বিলাসবহুল বাড়ি গাড়ির মালিক হলেন তা আজও বোধগম্য নই এলাকাবাসীর নিকট।
তাদের দাবী দ্রুত রাজস্বফাঁকিতে সহায়তাকারী এনজিও হারুনকে আইনের আওতায় এনে তার অর্থবিত্তের উৎস খতিয়ে দেখা হোক।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply