১৪ আগস্ট বুধবার ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) মহাসচিব হামিদা খাতুন সেলি এক বিবৃতিতে মওলানা ভাসানীকে সাংবিধানিকভাবে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন লড়াই করে গেছেন। তার দীর্ঘ প্রায় ৮০ বছরের রাজনীতিতে লড়াই করেছিলেন ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে, পাকিস্তান শাসকের বিরুদ্ধে, বাকশালের বিরুদ্ধে। তিনি সব সময় শাসক ও শোষকের বিরুদ্ধে এবং শোষিত মানুষের পক্ষে ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে যারা শহীদ হয়েছেন সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাই সময় এসেছে গণতন্ত্রকে স্বাধীন বাংলাদেশে সচেতন নাগরিকদের মওলানা ভাসানীর আদর্শকে ধারণ করা।
১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে আসামে লাইনপ্রথা আন্দোলনে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে তৎকালীন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর সাথে লড়াই করেন। মওলানা ভাসানী ১৯৫৮ সালের ১২ই অক্টোবর পাকিস্তানী আইয়ুব সামরিক জান্তা তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ ৪ বছর ১০ মাস তাকে কারাবরণ করতে হয়। স্বাধীনতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে মওলানা ভাসানীকে আজকের এই তরুণ সমাজে ও ছাত্রদেরকে এবং গণমানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিষ্ফলনের জন্য মওলনা ভাসানীর আদর্শকে অনুস্মরণ করতে হবে। তাই আজকে আমরা মনে করি মওলানা ভাসানীকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্ঠা হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী) পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সাংবিধানিকভাবে স্বাধীনার স্বপ্নদ্রষ্ঠা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানাই। সেই সাথে সকল দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক দলগুলোকে আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনীতির সমৃদ্ধি করার জন্য সরকারের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply