দুসস ডেস্কঃ বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের ব্যবসায়ী পার্টনার শাহীন চাকলাদার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি যশোর জেলা আওয়ামী লীগ কে রক্ষা করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চায় যশোর বাসী
আসন্ন ২৭ নভেম্বর ২০১৯ যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে আতকে উঠার মত ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে যা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শিক আওয়ামী লীগের সুরক্ষা কল্পে জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দুর্ণীতিবাজ ও অনুপ্রবেশকারী মুক্ত আওয়ামী লীগ গড়ার মহৎ উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়ন করার মত কোনো পদক্ষেপ এখানে দৃশ্যমান না হওয়ায় দলের নিবেদিত নেতা কর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মিলন নীরিহ মানুষ হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার একচেটিয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রায় ৮০ শতাংশ পদ তার নিজের পছন্দ মত লোককে দিয়ে পুরণ করার পাশাপাশি সকল উপজেলা কমিটিও অনুরুপভাবে গঠন করেছে যাদের মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে বিভিন্ন দল থেকে অনুপ্রবেশকারী এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য । সংগঠনে নিজের প্রভাব শতভাগ নিশ্চিত করতে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বাহিনী যাদের হাতে জিম্মি দল সহ পুরো যশোর এলাকা। যশোরের পিস কমিটির নেতা (বদ আলা’র) ছেলে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ এর হোতা টুকুন এর সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা, সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে নির্মিত মঞ্চ পরিদর্শনেও টুকুন কে সাথে নিয়ে পরিদর্শনে করেন শাহীন চাকলাদার যার ছবি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এলাকার কেউ তার বিরুদ্ধে গেলেই তার জীবনে নেমে আসে ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতন ও সর্বশেষ মৃত্যু।
বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম এর ব্যবসায়ী পাটনার, বিএনপি শাসন অামলে তরিকুল ইসলাম এর ঠিকাদার ব্যবসা দেখভাল কারি শাহীন চাকলাদার যশোর জেলা আওয়ামী লীগের মরহুম এক সাবেক নেতার হাত ধরে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করার পর সেই নেতাকে অপদস্থ করা সহ গত প্রায় এক দশক কালের মধ্যে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এর পদটি কব্জা করে নেওয়া সহ গড়ে তুলেছে যশোর এলাকায় সুউচ্চ(হোটেল) অট্রালিকা ও বিপুল অর্থ – সম্পদের পাহাড়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইতোমধ্যে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ আরো অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের সাথে যার ফলে তার এত অপকর্মের পরেও কেউ তার কিছুই করতে পারছে না বলে জানান এলাকাবাসী। তারা আরও বলেন শাহীন চাকলাদার এর বিরুদ্ধে এত বিতর্ক থাকার পরও সে সব জায়গায় টাকার বস্তা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলে। এমতাবস্থায় যদি দল থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে প্রকৃত ত্যাগী নেতা কর্মীদের রাজনীতি তো দুরের কথা নিজ পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়া হতে হবে, যার অতীতের এরকম অনেক নজীর রয়েছে বলে জানা যায়
তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো অন্ত নেই, এহেন অবস্থায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি হস্তক্ষেপ না করেন তাহলে এ জেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শিক আওয়ামী লীগ আগামী শত বছরেও এ জিম্মি দশা থেকে মুক্তির সকল পথ রুদ্ধ হওয়ার আশংকাও প্রকাশ করেছেন অনেকে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply