বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর অনুমোদন ছাড়া কেউ নামের আগে বা পরে ডাক্তার বা চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চতর কোনো ডিগ্রি ব্যবহার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে।
একইসঙ্গে অনুমোদনহীন ও মানহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. জেআর খান রবিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাম্মি আক্তার। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট, ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৬ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগে গত ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ছয় জনের প্রতি আইনি নোটিস পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান (রবিন)। এর পরও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জনস্বার্থে এই রিটটি দায়ের করা হয়।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী জে আর খান (রবিন) সাংবাদিকদের বলেন, দ্য মেডিকেল প্রাকটিশনার
অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ এর ৮ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ৯ ধারা অনুযায়ী শর্তাবলী পূরণ না হলে কর্তৃপক্ষ কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি প্রদান করবেন না। এ বিধান থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই অনুমোদনহীন, মানহীন। সেবার চেয়ে টাকা উপার্জনই মালিকদের উদ্দেশ্য। এতে অনেক সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২০ জুলাই বিএমডিসির সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিবন্ধিত চিকিৎসক বা দন্ত চিকিৎসকরা তাদের সাইনবোর্ডে, প্রেসক্রিপশন প্যাড, ভিজিটিং কার্ড ইত্যাদিতে PGT, BHS, FCPS (Part-I), (part-2), MD-(in course), (part-1), (part-2), (থিসিস পর্ব), (last part), course completed (cc), MS-(in course) ইত্যাদি এবং দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রদত্ত ফেলোশিপ এবং প্রশিক্ষণসমূহ যথা FRCP, FRHS, FICA, FICS, FAMS, FIAGP ইত্যাদি উল্লেখ করা যাবে না। কারণ এগুলো কোনো স্বীকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা নয় এবং বিএমডিসি কর্তৃক স্বীকৃত নয়। অনেকেই পোস্ট গ্রাজুয়েশন না করেও নামের আগে ‘বিশেষজ্ঞ’ শব্দ ব্যবহার করেন, যা জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। এটি বিএমডিসির আইনের পরিপন্থী এবং শাস্তি যোগ্য অপরাধ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply