প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে যেসব নদ-নদী দখল হয়েছে, তা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করবেন এবং দুদক প্রত্যাশা করে, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের প্রতিটি জেলায় নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। গতকাল চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে ৭ ফেব্রুয়ারি নদী নিয়ে প্রকাশিত ‘সেভ রিভার সেভ সোনার বাংলা’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদনটি দুদকের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা আজ সত্যিই হুমকির মুখোমুখি। প্রাকৃতিক, আন্তর্জাতিক ও কতিপয় সর্বগ্রাসী নদী দখলদারের কারণেই দেশের নদ-নদীগুলো আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের ৬৪টি জেলার ১৩৯টি নদ-নদী ব্যাপকভাবে দখল করা হয়েছে। কেবল ঢাকার বাইরে ৪৯ হাজার ১৬২ জন নদী দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ অথবা আত্মসাতের সহযোগিতা দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ। কমিশন এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি খাসজমি দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। কমিশনের প্রতিরোধমূলক বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি সম্পত্তি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে যেসব নদ-নদী দখল হয়েছে, তা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করবেন এবং দুদক প্রত্যাশা করে, দখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের মাসিক প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংরক্ষণ করতে পারে এবং প্রয়োজনে প্রতিবেদনের অনুলিপি দুদকে পাঠাতে পারে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা দুর্নীতি প্রতিরোধে তাদের কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলেও কমিশন দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply