নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সোমবার র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ৭ ডাকাত নিহতের চারদিনের মাথায় এবার পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা আরও এক ডাকাত নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটি ছিড়া পাহাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত অজিউল্লাহ (৩০) টেকনাফের নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের ভাগিনা ও বিশ্বস্ত সহযোগি বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এসময় ঘটনাস্থল হতে সেনাবাহিনী, র্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোষাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আটক ডাকাতরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রহিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায় টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলিশ। অকস্মাৎ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন শুরু করেন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩ টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালী খোসা ও ২ হাজার ২শ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এসময় বিভিন্ন বাহিনীর পোষাকসহ গুলিবিদ্ধ আহতসহ ৪ ডাকাতকে আটক করেন পুলিশ।
ওসি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতুরো আহত একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে সন্ধ্যার পর পৌঁছলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply