নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বহুল আলোচিত যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলার তদন্তের দায়িত্ব র্যাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর থানায় নিজেদের দায়ের করা পৃথক তিন মামলা এখন তদন্ত করবে র্যাব-১। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মামলা তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন—পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা।
এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর ঐদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ফার্মগেটে ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডের রওশনস ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করেছেন র্যাব।
গ্রেফতারের পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে যুব মহিলা লীগ থেকে। থানা পুলিশ থেকে মামলার তদন্তভার যায় গোয়েন্দা পুলিশের অধীনে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাল টাকা উদ্ধার, অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply