নিজস্ব প্রতিবেদকঃ উদ্ধার করা মাদকদ্রব্য আত্মসাতের অভিযোগে যশোরের শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আতাউর রহমানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। সোমবার খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে।
শাস্তি পাওয়া সদস্যরা হলেন থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মো. আবুল হাসান, এএসআই আবু বক্কর সিদ্দিক, কনস্টেবল মো. আব্দুল মান্নান ও মো. ইকবাল হোসেন। এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে শার্শা থানার ওসি মু. আতাউর রহমানকে ক্লোজ করে খুলনা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) সংযুক্ত করা হলো। একইসঙ্গে এসআই মো. আবুল হাসান, এএসআই আবু বক্কর সিদ্দিক, কনস্টেবল মো. আব্দুল মান্নান ও মো. ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হলো। এ প্রসঙ্গে যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম বলেছেন, মামলার আলামত সংরক্ষণে গাফিলতির অভিযোগে পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মুহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির দুই সদস্য হলেন সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান ও ডিআইও-১ এম মশিউর রহমান। তদন্ত কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিবে।
যদিও পুলিশের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ৫ মার্চ শার্শার কামারবাড়ি মোড়ের হারুনের সেলুনের সামনে থেকে ফেনসিডিল ও গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। এই মামলার আলামত ৪৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ১৬ কেজি গাঁজা আত্মসাৎ করেছেন ওসি ও তার সহযোগীরা। সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply