নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘরে খাদ্য নেই, বাহিরে কাজ নেই, সাধারণ খেটেখাওয়া শ্রমিক-শ্রেণীর মানুষ খাদ্য সংকটে দিশেহারা। করোনা-ভাইরাস আতংকের মাঝে অনাহারী মানুষের কাছে আরেকটি আতংকের নাম মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এই মোঃ রুহুল আমিন মোল্লা। তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের মাঝে চরম হতাশা ও অনাহারে দিনযাপন করছে ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। তিনি নিজেকে এই ওয়ার্ডের স্বঘোষিত শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজস্ব অস্রধারী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে দুঃশাসন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিন তদন্তে দেখা যায়, করোনা ভাইরাস আতংকের মধ্যে এই কাউন্সিলর স্থানীয় সাধারণ খেটেখাওয়া শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের সহযোগিতার হাত না বাড়িয়ে অকত্থ ভাষায় গালিগালাজ ও মারধোর করছেন। রাষ্ট্রীয় নিয়ম মেনেও যারা প্রয়োজনের তাগিদে ঘরের বাহিরে যান তাদেরকে নিজস্ব অস্রধারী ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মারধোর ও নির্যাতন চালাচ্ছেন।
আমাদে প্রতিনিধির তথ্য থেকে জানা যায়, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লার কাছ থেকে অবৈধ সুবিধাভোগী সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কতিপয় অতিউৎসাহী পুলিশ সঙ্গে নিয়ে তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত তার সন্ত্রসী তান্ডপ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, কাউন্সিলর নিজে পুলিশ সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় খাবারের দোকান ও নিত্য প্রয়জনীয় দোকান জোরপূর্বক বন্ধ করে দিচ্ছেন। ভুক্তভুগীদের অভিমত, এই কাউন্সিলর সরকারি সকল অনুদান সরকার দলীয় ও নিজের লোকজনের মাঝে বিতরণ করে, নিরীহ শ্রমিক শ্রেণীর লোকজন আজপর্যন্ত কোনো অনুদান পায়নি।
এ বিষয়ে প্রতিবাদকারী একজন সমাজ সেবক ও সাবেক বিখ্যাত হাডুডু খেলোয়াড় সালাউদ্দিন পান্না বলেন, এই এলাকার ঘড়বন্ধী মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে। বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলতেগেলে তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে খারাপ আচরণ ও মারমূখী ভূমিকার শরণাপন্ন হয়ে উঠেন এবং বলেন, “তোমরা বিএনপি করো, তোমাদের বাঁচিয়ে রেখেছি এটাই বেশী” অথচ এই কমিশনার আমাদের ভোটে নির্বাচিত। নির্বাচনের আগে আমাদের দ্বারে দ্বারে ভোট ভিক্ষা চেয়েছেন সেবক হিসেবে থাকার জন্য, কিন্তু এখন নির্বাচিত হয়ে শাসকের ভূমিকায় শোষণ করে চলেছেন। আমরা এই এলাকার বাসিন্দারা সন্ত্রাসী কাউন্সিলর এই রুহুল আমিন মোল্লার হাত থেকে নিষ্কৃতি চাই।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply