নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জে “মানব কল্যাণ পরিষদ” নামে একটি সামাজিক সংগঠনের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান ভূঁঞার বিরুদ্ধে ত্রাণ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন কর্তৃক দেওয়া সরকারি ত্রাণ নিজের প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করছেন কথিত এই বাণিজ্যিক সমাজ সেবক। https://www.youtube.com/watch?v=mDeOC8hRozA
এম এ মান্নান ভূঁঞার “মানব কল্যাণ পরিষদ” নামের সংগঠনটি জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত ত্রাণ বিতরণের জন্য ৫০০ নং তালিকা ভুক্ত। সুনিদৃষ্ট তথ্য সূত্রে জানা যায়, এম এ মান্নান ভূঁঞা নিম্ন আয়ের মানুষ ও দুস্থদের সরকারি ত্রাণ নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করছে।
উক্ত ঘটনাটি স্থানীয় সমাজ কর্মী ও সংগঠক ফেরদোসী আক্তার রেহানার দৃষ্টি আসলে, তিনি নিজে কথিত এই বাণিজ্যিক সমাজ সেবক এম এ মান্নান ভূঁঞার অফিসে গিয়ে সত্যতা প্রমান পান। তিনি বিষয়টি নিজের ফেসবুক আইডিতে লাইভ ভিডিও করেন। পরবর্তীতে ফেরদৌসী আক্তার রেহানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহযোগিতা নেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব ঘটনাস্থলে গিয়ে সরকারি ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের সত্যতার প্রোমান পান, কিন্তু কথিত এই বাণিজ্যিক সমাজ সেবক এম এ মান্নান ভূঁঞার ঘনিষ্ট বন্ধু পানিরকল নিবাসী নাজিমুদ্দিন ভেন্ডারের ছেলে আনিস ভেন্ডার এর মাধ্যমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুবকে ১৫০০০/- (পনেরো হাজার টাকা) ঘুষ দিয়ে রফাদফা করে ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন মর্মে ফেরদৌসী আক্তার রেহানা উক্ত এসআই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। https://www.youtube.com/watch?v=PSqjZKiT9XE
এছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে ঘুষ ল্যানদেন ও দুর্নীতির আরো তথ্য রয়েছে মর্মে সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ভুক্তভুগীদের কাছ থেকে আমাদের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তথ্য উঠে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভুগি অভিযোগ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুকের ঘুষ ও অনিয়মের বাণিজ্যের মাঠ-পর্যায়ে দায়িত্বে রয়েছে এসআই মাহবুব সহ আরো কিছু এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসকল দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসাররা ওসি কামরুল ফারুকের নির্দেশে ডিআইজি ও ডিসির নাম বিক্রি করে সাধারণ নিরীহ জনতাকে ভীতিকর হুমকি ধামকি ও মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার কথা বলে ঘুষ চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।
বিষয়টির সত্যতা মিলেযায় গতকাল (১২এপ্রিল রবিবার) নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের পানিরকল সড়কে অবস্থিত এসিআই ঔষধ প্লান্টের ক্যান্টিনে রান্নার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকের করোনা-ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা প্লান্টটি বন্ধকরে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তুলে।
জনগণের এই দাবির প্রেক্ষিতে এসিআই ঔষধ প্লান্টের কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে এসিআই ঔষধ প্লান্টের কর্তৃপক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে ম্যানেজ করার জন্য গোপনে হেক্সেসল বিক্রয়ের জন্য একটি নাটক সাজায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব ঘুষের টাকা আনার জন্য পানিরকল সড়কে এসিআই এর ঔষধের ডিপোতে “ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানরাইটস ডিটেকটিভ নিউজ সোসাইটি” নামে একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের মাইক্রো বাস নিয়ে যান।
ঘুষ ল্যানদেনের বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়লে আমাদের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বি এসিআই ডিপোতে যান, ডিপো ম্যানেজারের কক্ষে এসিআই ঔষধের ডিপো ম্যানেজার এসআই মাহবুবকে একটি খামে ২লক্ষ টাকা দেয়ার সময় আমাদের প্রতিনিধি ও স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাৎক্ষণিক এসআই মাহবুব বলেন ডিআইজি হাবিব স্যারের প্রতিষ্ঠানের জন্য হেক্সেসল ক্রয় করতে এসেছেন।
পরবর্তীতে অনুসদ্ধানে দেখা যায় যে, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ওই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত নন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই মাহবুব, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের গর্ব চৌকষ কর্মকর্তা ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর নাম বিক্রিকরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভীতিকর প্রভাব দেখিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এরপরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপের মুখে এসিআই ঔষধ প্লান্ট কর্তৃপক্ষ প্লান্টের ভেতরে কর্মরত শ্রমিক কর্মচারীদের অনিদৃস্ট কালের জন্য ছুটি ঘোষণা দিয়ে দ্রুত বের করে দেন, এরপরে ঔষধ প্লান্টটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply