(কোভিড-১৯) করোনাভাইরাস হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন পরিস্থিতিতেও ফতুল্লার বিসিক ও সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডেসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে অধিকাংশ গার্মেন্টস চালু করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব না মেনেই সকাল নিজ নিজ কর্মস্থলে দলেবেঁধে যোগ দেন শ্রমিকরা।
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত দুইদিনে ১৫৮টি রপ্তানিমূখী গার্মেন্টস কারখানা সীমিত আকারে খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম। তিনি জানান, এসব গার্মেন্টস কারখানায় শুধুমাত্র নিটিং, ডাইং ও স্যাম্পল বিভাগ খোলা হলেও করোনা ঝুঁকির কারণে উৎপাদন বিভাগ বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই সীমিত পরিসরে কারখানা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে এবং আগামি ২ মে থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হবে।
তবে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দাবি, জেলায় করোনার বর্তমান পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত না করেই ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে শ্রমিকদের। এ অবস্থায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে তারা দাবি করছেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয় বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ। পরবর্তীতে সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে তা ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর রোববার থেকে সীমিত পরিসরে ধাপে ধাপে কারখানা খোলার সিন্ধান্ত নেয় সংগঠন দুটি। জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে। সেই বিধি তাদের মেনে চলার কথা রয়েছে।
এদিকে জেলা করোনা ফোকাল কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় আরো ৮৪জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকালের তুলনায় দ্বিগুন। মৃত্যুর সংখ্যা গতকাল পর্যন্ত ৪২জন থাকলেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪২জন।
তবে লকডাউনের ২০তম দিনেও মানুষ অবাধে চলাচল করছেন। শহরের ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৮জন রোগি ভর্তি হয়েছে। বেসরকারি দুইটি সেন্টারে আটটি বুথে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব ভঙ্গ করে প্রতিদিন ১৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও সেখানে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক মানুষ জমায়েত হচ্ছেন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply