দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে দুই মাসেরও বেশি সময়ের জন্য সমুদ্রে সব ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে নির্দেশাপত্র জারি করেছে মন্ত্রণালয়। নৌবাহিনী সদর দপ্তর, জননিরাপত্তা বিভাগ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, কোস্ট গার্ড, র্যাব সদর দপ্তর, মৎস্য অধিদপ্তর, নৌপুলিশ, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, সমুদ্র উপকূলীয় ১৪ জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতে বলা হয়, অন্যান্য বছরের মতো সামুদ্রিক মৎস্য বিধিমালা-১৯৮৩ এর আওতায় দেশের সামুদ্রিক অর্থনৈতিক এলাকায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণপূর্বক বিজ্ঞানসম্মত ও সহনশীল আহরণ নিশ্চিতকল্পে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫দিন সকল প্রকার প্রজাতির মাছ ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্দেশাপত্রে সমুদ্রগামী সকল চ্যানেলের উৎসমুখে সকল মাছ ধরার নৌযান চলাচল বন্ধ করা, মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণের ব্যাপক প্রচার, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, আড়ৎ, বরফকল ইত্যাদিতে নিষিদ্ধকালীন মৎস্য অবতরণ না করা, কেনা-বেচা বন্ধ এবং বরফ সরবরাহ না করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া মৎস্য অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সমন্বয় সেল খোলা, নিষিদ্ধকালীন বিদেশি মাছ ধরার নৌযান যাতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় মাছ ধরতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
এর বাইরেও সমুদ্রগামী জেলেদের খাদ্য সহায়তা সুষ্ঠু ও যথাযথ বিতরণ নিশ্চিত করা এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্তৃক জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষিদ্ধকাল যথাযথ বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে এসব কার্যক্রম যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের অনলাইন সভার মাধ্যমে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রে মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, মাছকে বেড়ে উঠতে দেয়া এবং অবৈধ মাছ আহরণ বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত আমরা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই। কাউকে আইনের বাইরে কোন কিছু করতে দেয়া হবে না।
এ কাজে স্থানীয় প্রশাসন, নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, র্যাব, নৌপুলিশসহ স্থানীয় অংশীজনদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। এ সময়ে সমুদ্রগামী ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য ইতোমধ্যে ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply