ঈদের ছুটি শেষে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট হয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থল রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই নৌ-রুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
ঘাটের একাধিক সূত্রে জানা যায়, ফেরিতে মানা হচ্ছে না কোনো সামাজিক দূরত্ব। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে যাত্রী কাঠালবাড়ি ঘাটে আসছে। তবে ঘাট পর্যন্ত আসতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে ৫-৭ গুণ বেশি ভাড়া। এই নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে ঘাটের মানুষের যাতায়াত দেখলে মনে হয় না যে, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের চলাচলে আছে কোনো বাধা নিষেধ। কাঠালবাড়ি ফেরি ঘাটের সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃংখলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম মিয়া জানান, এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৭টি ফেরির মধ্যে ৫টি ডাম্প ফেরি বৈরী আবহাওয়ার কারণে বন্ধ রয়েছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply