টাঙ্গাইলের বাসাইলে করোনা আক্রান্তের মিছিলে যোগ হল আরও একজন কোভিট-১৯ পজেটিভ রোগী। তিনি উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা কমলাপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৮)।তার মধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ যাবত প্রচন্ড জ্বর, হালকা কাশি, হাটু ব্যাথা ও খাবারে অরুচিসহ বিভিন্ন উপসর্গ বিরাজমান আছে। এ অবস্থায় তিনি ২২ মে শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কাশেমপুর থেকে বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিক তাকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার পরামর্শ দেন। পরে ২৭ মে বুধবার বাসাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে সফিকুল ও তার স্ত্রীর নমুনা দিয়ে আসেন। ২৭ মে সংগৃহিত নমুনা ২৮ মে আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়। ৩১মে রাত ১১টায় তার করোনা পজেটিভ হওয়ার রিপোর্ট আসে। তবে তার স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ। পরে ১ জুন সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ফজলে এলাহির নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল টিম আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করে এবং ২০ দিনের হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে সহকারি কমিশনার( ভূমি) ফজলে এলাহি বলেন, করোনা পজেটিভ হওয়ার খবর পেয়েই আক্রান্তের বাড়িতে এসে স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত পরামর্শসহ আগামী ২০ জুন পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। মেডিক্যাল টীম প্রধান ডা. আতিকুল ইসলাম বলেন সফিকুলের মধ্যে করোনার বিভিন্ন উপসর্গ বিদ্যমান, তাই তাকে ২০দিন হোম আইসোলেশনে থাকাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।তবে শ্বাস কষ্ট বেড়ে গেলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে প্রেরন করা হবে। সে আমাদের অবজারভেশনে রয়েছে।
এ নিয়ে বাসাইল উপজেলায় মোট ৩ জন করোনা পজেটিভ রোগি শনাক্ত হলো। তবে ইতোমধ্যে ১জনের দ্বিতীয় বার নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস নেগেটিভ আসায় এবং কোন প্রকার উপসর্গ না থাকা তাকে রিলিজ দিয়েছে বাসাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।অপর জনের তৃতীয় বারের মতো নমুনা পাঠানো হয়েছে আইইডিসিার এ।এখনো রিপোর্ট আসেনি।এতে করে এখনো বাসাইলে আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ জন।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply