ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন অশ্লীল ভিডিও কনটেন্ট প্রচারের অভিযোগে গ্রামীণফোন ও রবির কাছে ব্যাখা চেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে অপারেটর দুটিকে এই ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপলোড ও প্রচারে সরকারি কোনো রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স আছে কিনা আর থাকলে তার বিস্তারিত জমা দিতে বলা হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয় বুধবার এই চিঠি পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে গ্রামীণফোন বলছে তারা অশ্লীল ও নীতিবিরুদ্ধ কনটেন্টের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিয়ে থাকে।

অপারেটরটির হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান জানান, গ্রামীণফোনের কোনো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে এ ধরনের কোনো কন্টেন্ট প্রচারিত বা প্রকাশিত না করার ব্যাপারে তারা সদা সতর্ক। এ ব্যাপারে তারা পার্টনারদেরও নিয়মিতভাবে সতর্ক করে থাকে। গ্রামীণফোন বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রচার ও প্রসারে সবসময়ই সচেতন এবং শ্রদ্ধাশীল।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের নামে সেন্সরবিহীন নগ্ন, অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কনটেন্ট ওয়েবে আপলোড করে প্রচার করা হয়েছে বলে জানা গেছে, বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিষয়টি সম্পর্কে দেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে প্রচার করেছে এবং সমাজে এর ব্যাপক বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট আপনার প্ল্যাটফর্ম এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ওয়েবে আপলোড এবং প্রচার করার জন্য আপনার প্রতিষ্ঠান সরকারের কোন রেজিস্ট্রেশন বা লাইসেন্স প্রাপ্ত কিনা এবং থাকলে তা কী– তা সরকারের জানা প্রয়োজন।’

তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠিতে এ ধরণের সেন্সরবিহীন, নগ্ন ও অশালীন দৃশ্য, কাহিনী ও সংলাপ সংবলিত ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার দেশের প্রচলিত আইন যেমন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ এর ৬৯ ধারা, পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ও ৮ ধারা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর পেনাল কোড, ১৮৬০ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ধরণের ভিডিও কন্টেন্ট প্রচার আমাদের সমাজের প্রচলিত মূল্যবোধের পরিপন্থী। আপনার প্রতিষ্ঠানের মতো বৃহৎ একটি প্রতিষ্ঠানের নিকট এ ধরনের কার্যকলাপ মোটেই কাম্য নয় বলে জানায় তথ্য মন্ত্রণালয়।

গ্রামীণফোনে ভিডিও স্ট্রিমিং প্লাটফর্মের নাম বায়োস্কোপ আর রবির রবি টিভি প্লাস।