ফরিদপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের কার্যালয়ে প্রবেশ করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারিরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে নৌ পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালকের ও নৌ পুলিশের পুলিশের সুপারের কার্যালয় দুইটিই শহরের গোয়ালচামট নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশাপাশি দুইটি ভবনে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. লুৎফর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে কিছু লোক এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এসময় আমার স্টাফদের মারধর করা হয়। আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও চর-থাপ্পর মারে। ভয়ে আমি অফিস থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করি।
তিনি আরও জানান, প্রথমে ভেবেছিলাম, সন্ত্রাসী বা ডাকাত কিছু একটা হবে। পরে জানলাম তিনি নৌ পুলিশ ফরিদপুর কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী ।
সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যখন অফিসের ভিতর অস্বাভাবিক ভাবে হাটাহাটি করছিলেন, তিনি দুইজন কর্মচারীকে চর-থাপ্পর মারেন, একজনের মুখের মাস্ক টেনে খুলে নেন। কর্মকর্তাদের রুমে সিসি ক্যামেরা না থাকায় রুমের ভিতরের মারপিটের দৃশ্য দেখা যায়নি। তবে এক পর্যায়ে উপ পরিচালক রুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে পালিয়ে যান সেটি দেখা যায়। তার পিছনে রুম থেকে সুমিত চৌধুরীসহ আরো কয়েকজনকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজা।
জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, দুইজনই সরকারি কর্মকর্তা। প্রথমেই আমরা দুইজনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। পরিবেশ অধিদপ্তর যদি মামলা করে, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুরো ঘটনাটি সরকারের ঊর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply