বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সুমন ব্যাপারীকে নিয়ে ‘প্রশ্ন’ বাড়ছে। কোনো মানুষের পক্ষে ১৩ ঘণ্টা কেন, ১৩ মিনিটও পানির নিচে থাকা সম্ভব নয়, তাই সুমন ব্যাপারীকে নিয়ে জিজ্ঞাসার অন্ত নেই! তাছাড়া মানুষের কৌতুহলী প্রশ্নে একেক সময় একেক রকম উত্তর দেওয়ায় তাকে নিয়ে সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়েছে। তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েও ‘অসংলগ্ন’ উত্তর দিয়েছেন সুমন ব্যাপারী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে ‘পালিয়েছে’ সুমন ব্যাপারী।
উদ্ধার হওয়ার পর দুই দিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি যান সুমন। কিন্তু সেখানে মানুষের কৌতুহলী প্রশ্নের চাপে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাকে নিয়ে যখন সন্দেহ বাড়তে থাকে, গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হতে থাকে তখন গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালে গেলে কৌশলে সেখান থেকে বেরিয়ে যান সুমন ব্যাপারী। হাসপাতালের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে লঞ্চডুবির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন সুমন ব্যাপারী। গত বৃহস্পতিবার কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, সুমনের সঙ্গে ৩০ মিনিট কথা হয়েছে। তিনি একেকবার একেক কথা বলছেন।
‘একবার বলছেন, লঞ্চ ডুবে যাওয়ার সময় তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। কোথায় ছিলেন, কীভাবে ছিলেন-কিছুই মনে নেই। উদ্ধারের পর সবকিছু জানতে পারেন। আবার কিছুক্ষণ পর তিনিই বলছেন, একটা অন্ধকার জায়গায় হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েছিলেন। তার বক্তব্যে আসলে কোনো কিছু স্পষ্ট হয়নি। বিষয়টি আমরা আরো খতিয়ে দেখবো।’-বলেন তদন্ত কমিটির প্রধান রফিকুল ইসলাম।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply