প্রচুর ঋণ পুনঃতফসিল, ঋণ শ্রেণিকরণের শর্ত শিথিলসহ নানা উপায়ে কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণ কমানো হলেও ব্যাংকে বাড়ছে মূলধন ঘাটতি। গত মার্চ প্রান্তিকে এসে ১৩টি ব্যাংক প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতিতে পড়েছে। প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে সরকারি সাতটি ব্যাংকে। গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে ১২টি ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি ছিল ২২ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকৃতপক্ষে খেলাপি ঋণ বাড়লেও নানা উপায়ে তা কম দেখানো হচ্ছে। প্রকৃত বিচারে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির কারণে মূলধন পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত হবে অর্থ মন্ত্রণালয় যাই বলুক তা না শুনে ব্যাংকিং নিয়মাচার মেনে কাজ করা। ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে নতুন অর্থবছর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই পথে যাবে বলে তিনি আশা করেন।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ঋণের গুণগত মানের সঙ্গে মূলধনের একটি সম্পর্ক আছে। সাধারণভাবে খেলাপি ঋণ বাড়লে মূলধনের প্রয়োজনীয়তা বাড়ার কথা। তবে সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মনীতি ব্যাপক শিথিল করা হয়েছে। ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের কারণে জানুয়ারি থেকে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও তাকে খেলাপি দেখানো যাবে না। তবে শুধু যেটুকু প্রকৃত আদায় হচ্ছে তার বাইরে বাকি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে আগের নিয়মেই শ্রেণিকৃত ঋণ হিসেবেই প্রভিশন রাখতে হচ্ছে। ফলে মূলধনে ঘাটতি বেড়ে গেছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply