নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোরবানির ঈদকে ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশে ২৬৪টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
করোনা সংকটে খরচ বাঁচাতে ভর্তুকিমূল্যে তিনটি পণ্য (চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল) কিনতে রোববার নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও ভিড় করতে দেখা গেছে ।
রাজধানীর সচিবালয় গেট, জাতীয় প্রেস ক্লাব ও রামপুরা বাজার এলাকার টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রের ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিলাররা জানান, রাজধানীতে সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষকে সুশৃঙ্খলভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা।
একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ দুই কেজি বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া মসুর ডাল প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে একজন ক্রেতার কাছে সার্বোচ্চ এক কেজি বিক্রি করা হয়েছে। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা দরে একজন ক্রেতার কাছে সর্বোচ্চ ৫ লিটার বিক্রি করা হয়েছে।
টিসিবি সূত্র জানিয়েছে কোরবানির ঈদ ঘিরে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের পর্যাপ্ত পণ্য দিয়ে প্রতিদিন স্পটে পাঠানো হচ্ছে। পণ্যের কোনো সংকট নেই। সব স্তরের মানুষ কিনতে পারবেন। একজন ডিলারকে প্রতিদিন ট্রাক প্রতি ৬০০-৭৫০ কেচি চিনি, ১৫০-২০০ কেজি মসুর ডাল ও এক হাজার থেকে বারোশ’ লিটার সয়াবিন তেল দেয়া হচ্ছে।
রামপুরা বাজার এলাকায় টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আয় নেই। যে কারণে পরিবার নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তাই এখানে বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কমে পণ্য বিক্রি হচ্ছে জেনে কিনতে এসেছি। মসুরের ডাল মাত্র এক কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এই পণ্যটা আরও বেশি করে বিক্রি করলে ভালো হতো। কারণ অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে মাত্র এক কেজি ডাল কিনতে পেরেছি।
একই স্থানে টিসিবির ডিলার মো. রফিক সংবাদিককে বলেন, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ন্যায্যমূল্যে তিনটি পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রথম দিনেই ভালো বিক্রি হয়েছে।
ক্রেতা সমাগমও ভালো ছিল।
তবে আগে টিসিবির এই বিক্রয় কেন্দ্রে নিম্ন আয় ও খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় বেশি দেখা যেত, এখন করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মধ্যবিত্তও ভিড় করছেন। সেটা চেহারা দেখেই টের পাচ্ছি।
রাজধানীর সচিবালয় গেট এলাকায় টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রে পণ্য কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোলাইমান বলেন, এখানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা। কিন্তু বাজারে কিনতে হলে ৬৫ টাকা ব্যয় করতে হতো।
সেক্ষেত্রে কেজিতে ১৫ টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। এছাড়া লিটারে ২০-২৫ টাকা সাশ্রয় হয়েছে সয়াবিন তেল কিনতে। আর মসুর ডাল পাচ্ছি ২০-৩০ টাকা কমে। তিনি বলেন, কিছুটা সাশ্রয়ের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি।
জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির বিক্রিয় কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে পণ্য বিক্রির জন্য প্রতিটি ডিলারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অনেক সময় আমরাই বিষয়টা নিশ্চিত করতে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করছি। আশা করি সবকিছু ঠিক থাকবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply