টাঙ্গাইলের বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়কের ছনকাপাড়া এলাকায় সেতু ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এছাড়াও কাশিল ইউনিয়নের কামুটিয়া এলাকায় পানির উর্ধ্বগতি ও প্রচন্ত চাপে নদী রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে চারটি ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ।
বৃহস্পতিবার বিকালে বন্যার পানির স্রোতে সেতু ও নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকাল থেকে বাসাইল-নাটিয়াপাড়া সড়কের বিভিন্ন স্থান ডুবে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বাসাইল-কাঞ্চনপুর সড়কের ছনকাপাড়ার সেতুটির নিচ দিয়ে পানির স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সেতুটি হঠাৎ করে ভেঙে বিলিন হয়ে যায়।
সেতুটি ভেঙে পড়ায় বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার কাঞ্চনপুর দক্ষিণপাড়া, ছনকাপাড়া, কাজিরাপাড়া, কোদালিয়াপাড়া, ফতেপুর, পাটদীঘিসহ প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এদিকে ঐ দিনই কাশিল ইউনিয়নের কামুটিয় ও দেউলীর মাঝামাঝি এলাকার নদীরক্ষা বাঁধটি ভেঙ্গে ফুলকি, কাশিল ও কাউলজানি ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা প্লাবিত হয়ে পানি বন্ধি হয়ে পড়ে আরো প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ।
বাসাইলের উপসহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলম বলেন, ১৯৯২-৯৩ সালে ‘কেয়ার বাংলাদেশ’- এর আওতায় সাড়ে ১১ মিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এ কারণে পানির স্রোতে ভেঙে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ইতিমধ্যেই নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এ সড়ক দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply