দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব।
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত হাওলাদার পরিবারের সন্তান সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব।
পিতাঃ মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রুহুল আমিন হাওলাদার, পিতামহ (দাদা) মরহুম হজরত আলম শাহ হাওলাদার, এবং বড়বাবা (দাদার পিতা) মরহুম হজরত মমতাজ উদ্দীন হাওলাদার, এবং বড় বাবার পিতা মরহুম হজরত রোকনউদ্দিন হাওলাদার।
সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব এর পূর্ব পুরুষগণ আরবের কুরাইশ বংশের একটি শাখা বনু সাহম গোত্রে থেকে আগত। ধারাবাহিক ভাবে তাদের বংশানুক্রম নিম্নরূপ।
২১. সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব
২০. বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রুহুল আমিন হাওলাদার,
১৯. হজরত আলম শাহ হাওলাদার,
১৮. হজরত মমতাজ উদ্দীন হাওলাদার,
১৭. হজরত রোকনউদ্দিন হাওলাদা।
১৬. হজরত রইসউল উদ্দিন হাওলাদার।
১৫. হজরত সামস উদ্দিন ইবনে মঈন
১৪. হজরত মঈন উদ্দিন ইবনে ইউসুফ
১৩. হজরত ইউসুফ ইবনে আব্দুল্লাহ
১২. হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস, (তিনি আল-আস ইবনে ওয়াইল ও “লায়লা বিনতে হারমালা” ওরফে “আল-নাবিঘাহ” এর পুত্র ছিলেন। (হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আসকে তার জ্ঞানের কারণে অত্যাধিক পছন্দ করতেন। ক্রোধ বা শান্ত উভয় অবস্থায় হজরত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকে যা কিছু বের হতো, তিনি সব কিছু লিখে রাখতেন। কোন কোন সাহাবা এমনটি না করার জন্য তাকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, উত্তেজিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহর মুখ থেকে যা কিছু বের হয় তা না লিখাই উচিত। বিষয়টি তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উত্থাপন করলেন। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি আমার সব কথা লিখতে পার। সত্য ছাড়া অন্য কিছুই আমি বলতে পারিনা। আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস’ তার চেয়ে বেশি জ্ঞানী সেই সময়ে কেউ ছিলেন না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ৬৪২ খ্রীস্টাব্দ থেকে ৬৪৪ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মিশরের সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ৬৪৪ খ্রীস্টাব্দ থেকে ৬৫৭ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত মিসরের গভর্নর ছিলেন। তার নেতৃত্বেই তত্কালীন সময়ে মিসর ও ফিলিস্তিন বিজয় অর্জন করেছিল।)
১১. হজরত আমর ইবনে আস
১০. হজরত আস ইবনে ওয়ায়েল
৯. হজরত ওয়ায়েল ইবনে হিশাম
৮. হজরত হিশাম ইবনে সুয়াইদ
৭. হজরত সুয়াইদ ইবনে সাহাম
৬. হজরত সাহাম ইবনে আমর
৫. হজরত আমর ইবনে হোসাইন
৪. হজরত হোসাইন ইবনে কাব
৩. হজরত কাব ইবনে লুয়াই
২. হজরত লুয়াই ইবনে গালিব
১. হজরত গালিব আল করশিস সাহমী।
সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব এর পূর্বপুরুষ এই অঞ্চলের প্রাক ইসলামের সূচনা লগ্নে সুদূর ইরাকের কারবালা ও মিসর হয়ে এই উপমহাদেশে হিজরত করেন। তাহার পূর্বপুরুষ ছিলেন রাসুল পাক নুর এ মোহাম্মদ হজরত আহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অন্যতম সাহাবা পাক পাঞ্জাতনের অন্যতম আহাল আল-বাইয়্যেত এর অন্যতম সদস্য নুর এ মোহম্মদ এর ন্যায্য স্থলাভিষিক্ত প্রথম ইমাম হযরত আলী আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও হজরত ইমাম হোসাইন আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিশিষ্ট সহচর। অতঃপর কালের বিবর্তনে ফিলিস্তিন হয়ে তৎকালিন ত্রিপুরা রাজ্য পরবর্তীতে কুমিল্লা এবং বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় বসতি স্থাপন করে অন্যান্য হিজরতকারী সাহাবায়ে কেরামদের উত্তরসূরি ওলি আউলিয়াদের সঙ্গে এই উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার করেন।
ব্যক্তি জীবনে সুফি মোহাম্মদ আহসান হাবীব একজন আধ্যাত্বিক সাধক, তাসাওউফ গবেষক, উদ্ভাবক, কবি, লেখক, সাংবাদিক, সমাজসেবক, মানবাধিকার কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংগঠক, ব্যবসায়ী এবং সাবেক নটিক্যাল মেরিন ইঞ্জিনিয়ার।
তিনি দুরন্ত সত্যের সন্ধানে (দুসস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জার্নালিস্টস ইউনিটি সোসাইটি (জেইউএস) এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, প্যাট্রিয়ট ট্রেড কর্পোরেশন লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রগতি প্রতিবন্ধী মানব কল্যাণ সংস্থা এর মহাসচিব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও গবেষনা সম্পাদক, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আধ্যাত্মিক দর্শন ও সাধনায় সুউচ্চ জ্ঞানসম্পন্ন সূফী সাধক। দরবার এ নূর এ মোহাম্মদ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্নধার। তিনি একজন আধ্যাত্বিক শান্তিপ্রিয় চিন্তাবিদ।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply