ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজে’লার বাকতা ইউনিয়নে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইউনিয়নের অস্বচ্ছল ও অ’সহায় মানুষদের মাঝে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচী ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের অ’ভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখনের বি’রুদ্ধে।
উপজে’লা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার অফিস সুত্রে জানাযায়, উপজে’লার বাকতা ইউনিয়নে ভিজি এফ কর্মসূচির আওতায় ৬ হাজার ৫২০ জন কার্ডধারী রয়েছেন। ওই কার্ডধারীদের মাঝে ১০ কেজি হারে ৬৫ মেট্রিকটন ২০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বুধবার সকাল থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত বাকতা ইউনিয়ন পরিষদে ভি জি এফ কার্ডধারীদের মাঝে ওই চাল বিতরণের সময়সূচী নির্ধারিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান স’রকারী গুদাম থেকে চাল উত্তোলন করে কালোবাজারীদের মাঝে বিক্রীর আশায় চাল বিতরণের বি’ষয়ে এলাকায় তেমন কোন প্রচারনা করেননি। যার ফলে কার্ডধারীদের উপস্থিতি কম ছিল। তদুপরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন কিছু চাল বিতরণ করেন। ইউপি চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ৪ মেট্রিকটন ২০ কেজি চাল বিতরণ না করে ইউনিয়ন পরিষদে রেখে পা’চারের চেষ্টা করেন।
এ নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা আর কল্পনা শুরু হয় । চাল পা’চারের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক শোরগোল হলে গত ২৫ জুলাই শনিবার সকালে স্থানীয় জনসাধারণ উপজে’লা নিবার্হী অফিসার কে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবশিষ্ট চাল গরীব অ’সহায়দের মাঝে বিতরণ করেন।
বাকতা ইউনিয়ন আলীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান চাল আত্নসাৎের জন্য বাকতা বাজার ও ইউনিয়ন পরিষদে খালি বস্তা দিয়ে শতাধিক চাউল ভর্তি বস্তা লুকিয়ে রাখে। পরে তা ইউএনও স্যারের হস্তক্ষেপে কার্ডধারী ও কার্ডবিহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অ’ভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মাখন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিতরণ শেষে শতাধিক নয় ৬৩ বস্তা চাল ছিল।
এ বি’ষয়ে উপজে’লা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল ছিদ্দিক বলেন, কার্ডধারীদের উপস্থিতি কম থাকায় কিছু চাল অবশিষ্ট ছিল। পরে তা আমার উপস্থিতিতেই গরীবদের মাঝে বিতরণ করে দেওয়া হইছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply