October 18, 2024, 9:13 am

তথ্য ও সংবাদ শিরোনামঃ
নারায়ণঞ্জে মানব কল্যাণ পরিষদের মানবিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত কিশোর আদীল হত্যা মামলার আসামী বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গ্রেফতার। ঢাকায় বসবাসরত নেপালী কমিউনিটির উদ্যোগে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান ভালুকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালিত “আবদুস সোবহান গোলাপ” একজন শীর্ষ অপরাধ ও দুর্নীতিবাজের সংক্ষিপ্ত ফিরিস্তি। শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারে জন্য পরোয়ানা জারি। নুনের অশেষ গুন। আওয়ামী লীগের আর কোন ভবিষ্যত নেই। -অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ঐতিহাসিক বঙ্গভঙ্গ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাবেক সংসদ উপনেতা ও মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আর নেই। ভালুকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ক্ষমতার পট পরিবর্তনে কেবল চেহারায় বদল ঘটেছে, বন্ধ হয়নি চাঁদাবাজি। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়ক অবরোধ করেছে একটি ওষুধ কোম্পানির শ্রমিকরা। ১৫ আগস্ট সহ জাতীয় আট দিবস বাতিল হচ্ছে। গাছের উপর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নামালো ফায়ার সার্ভিস শেখ হাসিনা অক্টবরের শেষের দিকে ভারত থেকে সফরে বের হবেন। চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় নুদরাত জাহান নোশিন। মেট্রোরেলে একক যাত্রার ২ লাখ টিকেট লাপাত্তা! মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, লন্ডন বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক কলকাতার অন্যতম প্রাচীনতম দুর্গা পুজা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সহ বহু স্বনামধন্য ব্যক্তির সঙ্গে জড়িত। ভালুকায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ছাত্রদলের আহবায়ক সানি বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভালুকায় গেস্ট হাউজ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার দলের প্রার্থী হতে হলে দলের প্রাথমিক সদস্য পদে অন্তত তিন বছর থাকতে হবে, সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি ভোটে হবে। -এম সাখাওয়াত হোসেন মওলানা ভাসানীর কারাবরণ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মরহুম এডভোকেট আফসার আহমেদ সিদ্দিকীর ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল আওয়ামী লীগ এখনো ষড়যন্ত্র করছে: ফারুক সর্বধর্মীয় সম্প্রীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে শারদীয় দূর্গা পুজাকে সংহতি জানান, মুসলিম,হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রতি পরিষদ। ইন্টারনেট আর্কাইভে সাইবার হামলা, ৩ কোটি পাসওয়ার্ড চুরি। সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম ডা. বি. চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় দু’আ মাহফিল অনুষ্ঠিত

করোনা আর বন্যায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবহী তাঁতশিল্প

করোনা আর বন্যায় অস্তিত্ব সঙ্কটের মুখোমুখি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবহী তাঁতশিল্প

এম শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃএকদিকে করোনার হিংস্র থাবা তার উপর আঘ্রাসী বন্যার কারনে  টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প তার ঐতিহ্য সংকটের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। তাঁত বোর্ডের ক্ষুদ্র ঋণ তাঁতিদের ভাগ্য উন্নয়নে তেমন প্রভাব ফেলছে না। ফলে জীবিকার প্রয়োজনে তাঁতিরা তাদের দীর্ঘদিনের  পৈত্রিক পেশা ছেড়ে অন্য কোন পেশার সাথেও তাঁত শ্রমিকরা নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় সুদমুক্ত ঋণ ও বিপনন বাজার সৃষ্টিতে সরকারি হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছে সংশ্লিষ্টরা।

টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লাতে ঘাটাইল, মধুপুর, ধনবাড়ী, গোপালপুর, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলা নিয়ে একটি এবং সদর উপজেলার বাজিতপুরে দেলদুয়ার, বাসাইল, মির্জাপুর, নাগরপুর, সখীপুর ও সদর উপজেলা নিয়ে একটিসহ বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের দুইটি বেসিক সেণ্টার রয়েছে।

বাজিতপুর ও বল্লা এ দুইটি বেসিক সেণ্টারের ৪৯টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি এবং ৪টি মাধ্যমিক তাঁতি সমিতি রয়েছে। এসব সমিতির চার হাজার ৩৯১টি তাঁত ফ্যাক্টরি মালিকের ২৭ হাজার ৯৩১টি তাঁত সচল এবং দুই হাজার ৬৭৩টি তাঁত  বন্ধ রয়েছে।

করোনাভাইরাস সংকটের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কল-কারখানা-ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করায় চালু তাঁত ফ্যাক্টরিগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জেলার তাঁতশিল্পে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৮৭ লাখ ৫৬ হাজার ৪০০টাকা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে এলাকার তাঁতিরা।

করোনা মহামারির সাথে  আঘ্রাসী বন্যার  থাবা জেলার তাঁতশিল্পকে অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলেছে। একদিকে  করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ফ্যাক্টরিগুলোতে তাঁত মালিকদের বিনিয়োগ বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো তার উপর বন্যার পানিতে ডুবে ফ্যাক্টরির সচল তাঁত, তাঁতে থাকা সুতার ভিম, কাপড় ও সরঞ্জামাদীসহ প্রায় সবই বিনষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জেলার তাঁতশিল্পগুলোর ঘুরে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।।

বাতাঁবোর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাজিতপুর বেসিক সেণ্টার সূত্রে জানা যায়, এ সেণ্টারের ৩২টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি ও তিনটি মাধ্যমিক সমিতির দুই হাজার ২৬৭ তাঁত মালিকের মোট ১২ হাজার ৪২৯টি তাঁত রয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৬৭৩টি তাঁত আগে থেকেই বন্ধ  এবং ৯ হাজার ৭৫৬টি তাঁত চালু ছিলো। মূলত: এ বেসিক সেণ্টারের তাঁতগুলোতে মিহি সুতার ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি হয়। হিসাব অনুযায়ী করোনা সংকটের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে বন্ধ রাখা প্রতি তাঁতে ৮০০ টাকা হারে প্রতিদিন গড়ে ৭৮ লাখ ৪ হাজার ৮০০টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

কালিহাতি বল্লার বেসিক সেণ্টারের সূত্রমতে, এ সেণ্টারের ১৭টি প্রাথমিক তাঁতি সমিতি ও একটি মাধ্যমিক তাঁতি সমিতির অধীনে দুই হাজার ১২৪টি তাঁত ফ্যাক্টরি মালিকের ১৮ হাজার ১৭৫টি তাঁত রয়েছে। এ বেসিক সেণ্টারের তাঁতগুলোতে অপেক্ষাকৃত মোটা সুতার শাড়ি উৎপাদিত হয়ে থাকে। বেসিক সেণ্টারের হিসাব মতে, গত মার্চের ২৬ তারিখ থেকে করোনার কারণে ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় প্রতিটি তাঁতে দৈনিক ন্যূনতম ৬০০ টাকা হারে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৯ লাখ ৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। 
দুটি বেসিক সেণ্টারের অধীনে তাঁত ফ্যাক্টরিগুলো সে হিসেবে করোনার কারণে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা করে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ থেকে রবিবার ৯ আগস্ট পর্যন্ত করোনায় টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পে ২৫৬ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৬০০টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে নয়া দুর্যোগ হিসেবে সাম্প্রতিক আঘ্রাসী বন্যা তাঁতশিল্পে হানা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে তাঁতশিল্পের তাঁত, কাপড়, তানা ও সরঞ্জামাদী সহ সবকিছু অপুরনীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্যার ফেক্টরীহুলো পানিতে   তলিয়ে থাকায় তাঁতশিল্পের মেশিনসহ কাঁচামালও বিনষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিন টাঙ্গাইলের তাঁত মালিক, শ্রমিক, বেসিক সেণ্টারের কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনা মহামারির সাথে বন্যার দুর্যোগ যোগ হয়ে টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। শাড়ি ব্যবসার জন্য পয়লা বৈশাখ, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা ও দুর্গাপূজা প্রধান মৌসুম। পয়লা বৈশাখে কোনো শাড়ি বিক্রি হয়নি। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার জন্য নতুন শাড়ি বানানো হয়নি। উৎসবের জন্য যেসব শাড়ি আগেই তৈরি করে মজুদ করা ছিল সেগুলোও বিক্রি হয়নি। বৈশাখে শাড়ি তৈরিতে ১০৭ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। শাড়ি প্রতি গড়ে ১০০টাকা লাভে বিক্রি হলে ৮ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার মত লাভ হত। ঈদুল ফিতরে সবচেয়ে দামি শাড়ি তৈরি ও বেশি শাড়ি বিক্রি হয়। ঈদুল ফিতরে শাড়ি উৎপাদনে কোন লক্ষ্যমাত্রাই নির্ধারণ করা হয়নি। একই অবস্থা ছিলো ঈদুল আজহায়। আগামি দুর্গাপূজায়ও একই অবস্থা বিরাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কেউ কেউ পৈত্রিক পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় গিয়েও তেমন সুবিধা করতে না পেরে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। তাঁতিদের ধারণা, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় লাভ-লোকসান তো পরের হিসাব এ শিল্পের অস্তিত্ব নিয়েই তারা শঙ্কিত।

টাঙ্গাইল শাড়ির রাজধানী পাথরাইলের শাড়ি প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী নীল কমল বসাক জানান, করোনা ও বন্যা তাঁত শিল্পের মহ ক্ষতি করেছে। সরকারি প্রণোদনা প্রদানের পাশাপাশি তাঁত শাড়ির বাজার তৈরিতেও সরকারের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

টাঙ্গাইল জেলা তাঁতি লীগের সহ-সভাপতি কালাচাদ বসাক জানান, করোনা মহামারি ও বন্যায় ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপাদন অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ শিল্প আদৌ থাকবে কি-না সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুদমুক্ত ঋণ ও সরকারি প্রণোদনা না পেলে তাঁতিরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবেনা।

টাঙ্গাইল শাড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যজ্ঞেশ্বর অ্যান্ড কোং এর মালিক রঘুনাথ বসাক জানান, করোনা মহামারি ও বন্যার ভয়াবহ দুর্যোগে জেলার তাঁত শিল্পে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সুদমুক্ত ঋণ, প্রণোদনার পাশাপাশি সরকারের কাছে পাঁচদফা সুপারিশনামা উপস্থাপন করেন তিনি। সুপারিশগুলো হচ্ছে- শাড়ির নতুন নতুন বাজার তৈরি করা, সুদমুক্ত ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, বিদেশ থেকে শাড়ি আমদানী বন্ধ করা, দেশি পণ্য বিশেষ করে সালোয়ার-কামিজের পরিবর্তে শাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করা, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিণ্ট মিডিয়ায় দেশীয় শাড়ি ব্যবহারে জনমত তৈরি করা ইত্যাদি।

টাঙ্গাইল সেণ্ট্রাল কো-অপারেটিভ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মোফাখখারুল ইসলাম জানান, করোনা মহামারির সাথে বন্যার ভয়াবহতা যোগ হয়ে জেলার তাঁতশিল্পকে অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলেছে। গত ২৬ মার্চ থেকে জেলার সব তাঁত ফ্যাক্টরি বন্ধ। তাঁত মালিক ও এর সাথে জড়িত প্রায় দেড় লাখ মানুষ কর্মহীন অবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। যারা এক সময় দান-অনুদান বিতরণ করেছে- তারাও এখন নিজেদের পরিবারের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে পারছেনা। করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে তাঁতিদের উৎপাদিত পণ্য ঘরে থেকে বিনষ্ট হচ্ছে, কোথাও বিক্রি হচ্ছে না। সুদমুক্ত ঋণ ও সরকারি প্রণোদনা ব্যতিত এ সঙ্কট থেকে তাঁতিদের মুক্তির পথ নেই।

বাতাঁবোর বল্লা (কালিহাতী) বেসিক সেণ্টারের লিয়াজোঁ অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) মো. ইমরানুল হক জানান, এতদাঞ্চলের তাঁতিরা সাধারণত তুলনামূলক মোটা সুতায় তৈরি শাড়ি উৎপাদন করে থাকে। করোনার সাথে বন্যা যোগ হয়ে এ শিল্পে মহাদুর্যোগ সৃষ্টি করেছে। ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় একদিকে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিটি তাঁতি পরিবারে অর্থাভাব দেখা দিয়েছে। তারা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁতিদের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছেন। কিন্তু তা এই মুহূর্তে তাঁতিদের উল্লেখযোগ্য উপকারে আসছে না। তিনি তাঁতিদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনে তালিকা পাঠিয়েছেন।

টাঙ্গাইল সদরের বাজিতপুর বেসিক সেণ্টারের লিয়াজোঁ অফিসার মো. রবিউল ইসলাম জানান, তারা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক তাঁতিদের মাত্র ৫% সার্ভিস চার্জে ক্ষুদ্রঋণ দিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনার বাইরে তাদের কাজ করার সুযোগ নেই। শাড়ি উৎপাদন ও বাজারজাত করণ কিংবা নতুন বাজার সৃষ্টিতে তাঁতিদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তিনি জানান, মূলত: করোনা ও বন্যায় তাঁতশিল্পকে ধসের মুখে ফেলেছে। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারলেও করোনা পরবর্তী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ শিল্প মহাসঙ্কটে পড়বে।

আমাদের প্রকাশিত তথ্য ও সংবাদ আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)

Design by Raytahost.com