টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাই ছোট ভাইকে বাজার থেকে ফেরার পথে লোকজন নিয়ে মারধোর করতে থাকে। এক পর্যায়ে পেটে ছুরিকাঘাত ও মুখে বিষ ঢেলে দেয়। ওই ছোট ভাইয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে সখিপুর থেকে টাঙ্গাইল, টাঙ্গাইল থোকে মির্জাপুর, আর মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাবস্থায় ২৫ ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২১ আগস্ট শুক্রবার রাতে চলে যান না ফেরার দেশে।
বড় ভাইয়ের পরিকল্পিত খুনের শিকার এই ছোট ভাই হলেন উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের হতেয়া বড়চালা এলাকায় মৃত মোকদম আলীর ছেলে খোরশেদ আলম।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আবু হানিফের দায়ের করা মামালার প্রধান আসামি নিহতের আপন বড়ভাই মোকছেদ আলী (৬০) ও প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ২২ অাগস্ট সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে ওই দুই আসামিকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিনো হয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের ছেলে আবু হানিফ ও সখীপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত খোরশেদ আলমের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বড়ভাই মোকছেদ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।ঘটনার দিন স্থানীয় বাজার থেকে খোরশেদ আলম তার স্ত্রীর জন্য ওষুধ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর বড়ভাই মোকছেদ আলী ও সঙ্গে থাকা আরও তিনজন মিলে তাঁকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেন তাঁর পেটে ছুরি মেরে দেয়। পরে ওই চারজনে মিলে তার মুখে জোরপূর্বক বিষ ঢেলে দেয়। এমতাবস্থায় তার ডাক চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে আবার তাঁকে মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে খোরশেদ আলম মারা যান ।
সখীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বলেন, লাশ মির্জাপুর থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে গ্রহণ করে সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামি দুইজনকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply