টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের কলেজপাড়া আমঘাট রোডে হোমিও ও ইলেকট্রিক ব্যবসার অন্তরালে চলছে রমরমা হুন্ডির ব্যবসা। প্রাড় দেড় বছর ধরে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলে আসছে এই অবৈধ ব্যবসা। এতে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানা যায়, কলেজপাড়া আমঘাট রোডের ন্যাশনাল হোমিও হল ও মক্কা মদিনা এন্টারপ্রাইজে ইলেকট্রিক ব্যবসার অন্তরালে চলছে রমরমা হুন্ডির ব্যবসা।
আমেরিকান ডলার, ইউরোপিয়ান ইউরো, মালয়েশিয়ান রিংগিত, সিঙ্গাপুরের ডলার, সৌদি আরবের রিয়াল, কুয়েতের দিনার, ওমানের বাইসা, সুদানের পেইস্টার, সাউথ আফ্রিকার উইকিপিডিয়াসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের মুদ্রা ভাঙানো যায় ওষুধ ও ইলেকট্রিক্স এর দোকানে।
মো. সোহাগ মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার পরিবারের কয়েকজন প্রবাসে বসবাস করেন। আমি তাদের পাঠানো বিদেশি মুদ্রা ন্যাশনাল হোমি হল থেকে এর আগে অন্তত ২০-২৫ বার মালয়েশিয়ান রিংগিত আর সিঙ্গাপুরের ডলার ভাঙিয়েছি। ন্যাশনাল হোমিও হলের বৈধ কোনো লাইসেন্স আছে কি-না এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই দোকানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রা বেচাকেনা হয়। প্রতিদিন সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা ও রাত পর্যন্ত তারা হোমিও ওষুধ ও ইলেকট্রিক ব্যবসার অন্তরালে এ অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এ নিয়ে ন্যাশনাল হোমিও হলের বিদেশি মুদ্রা বিক্রেতা মো. মিলন বলেন, আমি বিশ্বের যেকোনো দেশের মুদ্রা ভাঙিয়ে দেই। প্রশাসনের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় কেউ কিছু বলেনি।
মক্কা মদিনা এন্টারপ্রাইজের আব্দুর রহিম বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি জানে। এছাড়া প্রশাসন আমাদের আয়ত্বে থাকায় ব্যবসায় কোনো সমস্যা হয় না।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমঘাট রোডে হুন্ডির ব্যবসা চলছে এমন তথ্য জানা নেই। তথ্য পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply