শরীয়তপুর সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদারের (৪৫) বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ায় একটি ও এক মামলার বাদীকে মারধরের অভিযোগ এনে অন্য মামলাটি দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে পালং মডেল থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চিকন্দী গ্রামের মৃত আব্দুল গণি হালাদারের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে রাজ্জাক হাওলাদারকে (৩০) মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তদন্তে চিকন্দী ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমেদ ও এটিএসআই জ্যোতির্ময় একই গ্রামের বিবাদী মৃত কাদের হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদারের বাড়িতে বাদী ও বিবাদী পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে ঘটনা তদন্তে বসেন। এ সময় চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার ও তার ভাই মোজাম্মেল হাওলাদারসহ ৪/৫ জন লোক এসে পুলিশের কাজে বাধা দেয় এবং মামলার বাদী রাজ্জাক হাওলাদারের মা করিমননেছাকে মারধর করেন। এসময় চিকন্দী ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমেদ ও এটিএসআই জ্যোতির্ময় করিমন্নেছাকে রক্ষা করতে গেলে চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার ও তার ভাই মোজাম্মেল পুলিশকে গালাগালি করে এবং ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার ও তার ভাই মোজাম্মেলসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ এনে পুলিশ পরিদর্শক ও চিকন্দী ফাঁড়ির ইনচার্জ ফারুক আহমেদ একটি মামলা এবং করিমন্নেছাকে মারপিট ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগ এনে তার মেয়ে জান্নাতুন নাঈমা বাদী হয়ে অন্য মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার বলেন, সোহাগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী রাজ্জাককে মারপিটের অভিযোগ করেছেন তার মা। তারা দু’জনই আমাদের একই বংশের। যেহেতু তারা আমাদের একই বংশের তাই মামলায় না গিয়ে এলাকার মুরব্বীদের নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করে দিতে চেয়েছিলাম। পুলিশ তদন্তে গেলে করিমন্নেছা ও তার মেয়ে পুলিশের সামনে আমাকে দোষারোপ করে গালাগাল দিতে থাকে। এসময় আমার ভাই মুজাম্মেল তাদের মারতে গেলে আমি বাধা দেই। এ সময় পুলিশ আমার ভাইকে আটক করার জন্য ধরলে সে ছুটে চলে যায়। এটা হয়তো পুলিশের সম্মানে লেগেছে। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান ইয়াছিন হাওলাদার ও তার ভাই মোজাম্মেল হাওলাদারসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাঁধা, লাঞ্ছিত ও মামলার বাদীনীকে মারধরের অভিযোগে একই দিন দুটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply