টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে অপহরণের সাত দিন পর স্কুলছাত্রীকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার একটি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অপহরণ ও বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ২৬ আগস্ট বুধবার কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
কারাগারে পাঠানো ওই যুবকের নাম রুবেল সরদার (২৫)। তিনি ওই ছাত্রীকে অপহরণ ও তাকে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার প্রধান আসামি।
রুবেল সরদার নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার বাসিন্দা। অপহৃত স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার সখীপুর থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলাটি করেন।
পুলিশ জানায়, রুবেল সরদার এর আগে তিনটি বিয়ে করেছেন। কবিরাজ পরিচয়ে মেয়েটির মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে ওই পরিবারের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে তোলেন তিনি। দুই সপ্তাহ আগে মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে রুবেলের প্রতি ক্ষুব্ধ হন তাঁর মা–বাবা। ফাঁকা পেয়ে ১৮ আগস্ট রাতের বেলা মেয়েটির মুখ চেপে ধরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যান রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে অপহরণকারীদের আটকাতে পারেননি। ঘটনার ছয় দিন পর সোমবার মেয়েটির বাবা সখীপুর থানায় মামলা করেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মান–সম্মানের ভয়ে আমরা প্রথমে মেয়েটিকে উদ্ধারে ওই ছেলের মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করি। অবশেষে নিজস্ব চেষ্টায় ব্যর্থ হলে আমরা বাধ্য হয়েই থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছি।’
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমল কুমার বলেন, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আদালত মেয়েটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। আসামি রুবেল সরদারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেয়েটিকে উদ্ধার ও মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
All Rights Reserved: Duronto Sotter Sondhane (Dusos)
Leave a Reply